ভোপাল: রাজনৈতিক মহলে ফের আলোচনার কেন্দ্রে বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয় যে, গুণার প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর বায়ো অর্থাত্ পরিচয় বদল করেছেন। গুঞ্জন ছড়ায় যে বায়ো-তে তিনি বিজেপির উল্লেখ করেননি এবং শুধুমাত্র ‘জনসেবক’ ও ‘ক্রিকেটপ্রেমী’ লিখেছেন। এই প্রসঙ্গ ঘিরেই জল্পনা ছড়ায় যে, বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ জ্যোতিরাদিত্য। তিনি দল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এই জল্পনা এতটা ছড়িয়ে পড়ে যে, তা খণ্ডন করতে শুধু তাঁর সমর্থকদেরই নয়, জ্যোতিরাদিত্যকেও এগিয়ে আসতে হয়।

জল্পনা চলছে যে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির অন্দরে  টানাপোড়েন নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে আসা সিন্ধিয়া সমর্থকরা খুশি নন । সিন্ধিয়ার সঙ্গে যে প্রাক্তন মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়েছিলেন, তাঁরা মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারে মন্ত্রী হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এখনও হয়নি।এরফলে বিজেপিতে যোগদানকারী কমলনাথের নেতৃত্বাধীন পূর্বতন কংগ্রেসে সরকারের মন্ত্রীদের ও সিন্ধিয়ার সমর্থকদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। আগামী দিনে তাঁদেরকে ভোটে লড়াই করতে হবে।
এরইমধ্যে ট্যুইটারে জ্যোতিরাদিত্যর ছবি বদল নিয়ে জল্পনা জোরদার হয়।
কংগ্রেস ছাড়ার আগে ২০১৯-র ২৫ নভেম্বর জ্যোতিরাদিত্য ট্যুইটারে তাঁর বায়ো বদলেছিলেন। তখন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের জায়গায় লিখেছিলেন ‘জনসেবক’।
তাঁকে নিয়ে যে জল্পনা চলছে, তা খণ্ডণ করে জ্যোতিরাদিত্য বলেছেন, 'মিথ্যে খবর সত্যের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে'।


তিনি বলেছেন, আমার ট্যুইটার বায়োতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এক্ষেত্রে যে জল্পনা চলছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই। এ ধরনের গুজবে কারুর কর্ণপাত করা উচিত নয়। বিজেপিতে যোগদানের সময় আমার যে বায়ো ছিল, তা এখনও রয়েছে। ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শুধু আমার একটি ছবি পরিবর্তন হয়েছে মাত্র।
মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নয়া মাত্রা যোগ করে নিজের অনুরাগী ২২ জন বিধায়ক সহ গত মার্চে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁদের কংগ্রেস ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা থেকে ইস্তফার ফলে গত ২০ মার্চ কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে। ২৩ মার্চ শিবরাজ ফের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন।