লখনউ :কৈরানা লোকসভা আসন ও নূরপুর বিধানসভা আসনে হার নিয়ে দলের অন্দরেই আক্রমণের মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রাজ্যের দুই বিধায়ক উপনির্বাচনে হারের জন্য যোগী সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, যোগীর রাজত্বে দুর্নীতির জন্য ভোটে ধাক্কা খেয়েছে দল।
এই দুই বিজেপি বিধায়কের একজন তো আবার ফেসবুকে কবিতা পোস্ট করে নাম না করে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হারদোই জেলার গোপামাউ বিধানসভার বিধায়ক শ্যামপ্রকাশ এবং অন্যজন বালিয়া জেলার বেরিয়ার বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ।
এদিন শ্যামপ্রকাশ অভিযোগ করেছেন যে, যোগী সরকারের আধিকারিকরা দুর্নীতিগ্রস্ত।কৃষকরা সরকারের ওপর খুশি নন। এছাডা়ও হারের আরও অনেক কারণ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুকে ব্যাঙ্গাত্মক একটি কবিতা পোস্ট করে লিখেছেন, গোরখপুর ও ফুলপুরের পর এবার কৈরানা ও নূরপুর।
তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে রাজত্ব পাওয়া গেলেও জনতার মন পাওয়ার মতো কাজ হয়নি।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য যোগী নন। তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে, আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করছেন না। সরকারি আধিকারিকরা এখনও দুর্নীতিগ্রস্ত। সাধারণ মানুষ ও বিজেপি কর্মীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
শ্যামপ্রকাশ বলেছেন, উপনির্বাচনে হারের জন্য যোগী আদিত্যনাথের দায় সামান্যই। কিন্তু তাঁর মন্ত্রীরা এরজন্য দায়ী। যোগী সরকারের পঞ্চাশ শতাংশ মন্ত্রীর কাজের ধারা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, তাঁরা দলীয় কর্মীদের গুরুত্ব দেন না। ওই মন্ত্রীরা ক্ষমতায় থাকলে রাজ্যে নিশ্চিতভাবে দলের পতন ঘটবে।
শ্যামপ্রকাশ আরও বলেছেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ সম্পর্কে গুরুত্ব দেওয়া হয় না তহশিল , ব্লক অফিস ও থানাগুলিতে। এরপর তাঁরা আর বিজেপিকে ভোট দেবেন না। তিনি আরও দাবি করেছেন, বিজেপি সরকার রাজ্যে স্বচ্ছ সরকার দিতে পারেনি। সরকারি আধিকারিকদের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, মাথায় এত কিছু ঘোরাফেরা করছিল, সেগুলিই কবিতার রূপ নিয়েছে। ওই কবিতা যে ভাইরাল হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।
বেরিয়ার বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহও দুই আসনে হার নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে আসেননি, কিন্তু যোগী এসেছিলেন। কাজেই এই হারের দায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও। সরকারে দুর্নীতিকেই হারের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সিংহ বলেছেন, পুরো সরকারই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষ কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেনা না।