লখনউ: উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচার তুঙ্গে। তার মধ্যেই  ভয়-ভীতি, সন্ত্রাসের আবহাওয়ায় উত্তরপ্রদেশের কাইরানা থেকে হিন্দুদের চলে যাওয়ার অভিযোগের উল্লেখ করলেন গোরখপুরের বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে জোর করে কাশ্মীরী পন্ডিতদের যেভাবে তাড়ানো হয়েছিল, সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি কাইরানাকে আরেকটা কাশ্মীর হতে দেবে না। বলেন, হিন্দুদের কাইরানা ত্যাগ, লাভ জিহাদ ও মহিলা নিরাপত্তার ইস্যুগুলি ভোটে বড় হয়ে উঠবে। যোগী আজকের কথা বলছে না, বলছে ভবিষ্যতের কথা। হিন্দুদের বহিষ্কার আমাদের কাছে বড় ইস্যু।


প্রসঙ্গত, বিজেপি এমপি হুকুম সিংহ গত বছরের জুনে দাবি করেন, প্রায় ৩৫০টি হিন্দু পরিবার  একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীদের হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের ফলে কাইরানা ছেড়েছে।

পূর্ব উত্তরপ্রদেশে হিন্দু, মুসলিমরা নিরাপদ বলে জানান আদিত্যনাথ। বিজেপি তারকা প্রচারকারী বলেন, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে একজন হিন্দু যদি নিরাপদ থাকেন, তবে একজন মুসলিমও থাকবেন। লাভ জিহাদ অতীতে ইস্যু ছিল, এখনও থাকবে বলেও জানান তিনি। অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াডের এজেন্ডা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আদিত্যনাথ বলেন, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে অনেক জায়গায় মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। স্কোয়াড ওদের অধিকার রক্ষা কাজ করবে, রাজ্যে মেয়েদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবে।

পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষমতাসীন অখিলেশ সিংহ যাদব সরকার ও অন্যদের তোপ দেগে তিনি বলেন, সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হিন্দু। আর সেখানে সংখ্যালঘুদের নানা টোপ দিয়ে খুশি করে কাছে টানতে চাইছে ওরা। আদিত্যনাথের দাবি, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে এ দেশে রাজনৈতিক নেতারা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধাচরণ করে। উত্তরপ্রদেশে সরকার কবরের জন্য জমি দেয়, কিন্তু শ্মশানঘাটের জন্য জমি মেলে না! ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে বিজেপি উন্নয়ন কর্মসূচি নেবে জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে। আক্ষরিক অর্থেই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ কার্যকর হবে।