মুম্বই: মুম্বইয়ের কমলা মিলসে একটি পাবে আগুন লেগে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার পরের দিন ওই পাবের দুই মালিকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করল পুলিশ। ওই পাবের দুই মালিকের নাম হিতেশ সাঙ্গভি ও জিগর সাঙ্গভি। বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও লুক আউট নোটিস জারির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। বারটেন্ডারের আগুন নিয়ে স্টান্ট, হুঁকায় ব্যবহৃত জ্বলন্ত কয়লা, শর্ট সার্কিট না অন্য কোনও কারণে আগুন লেগেছে, সেটা খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা।

এরই মধ্যে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) রেস্তোরাঁগুলিতে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। নববর্ষের সময় যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিভিক চিফ অজয় মেহতা।

গতকালই হিতেশ, জিগর, ওই পাবের আরও এক মালিক অভিজিৎ মনকা সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩৩৭ ও ৩৩৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ওই পাব কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, তারা যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনেই চলছিল। পাব চালানোর জন্য সব বিষয়ে অনুমোদনও ছিল। পুলিশ ও দমকল অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। বিএমসি তদন্ত শুরু করেছে। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য পাঁচ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

মুম্বইয়ের মেয়র বিশ্বনাথ মহাদেশ্বর বলেছেন, তদন্তে যে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএমসি-র মুখপাত্র রাম দতন্ডে বলেছেন, কমলা মিলস অঞ্চলের দু’টি রেস্তোরাঁর অবৈধ ছাদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আন্ধেরির কয়েক রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেআইনি নির্মাণের খবর পেয়ে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলির বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। আধিকারিকরা রেস্তোরাঁগুলি পরিদর্শন করে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছেন।

অন্যদিকে, আজ দলীয় মুখপাত্র সামনায় শিবসেনা দাবি করেছে, বিশ্বের সর্বত্র অগ্নিসুরক্ষা নিয়ে প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব দেখা যায়। মক্কা ও লন্ডনেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সামনায়। তবে একইসঙ্গে গত দু’বছরে মুম্বইয়েও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে স্বীকার করেছে শিবসেনা।