মুম্বই: শিবসেনা – কঙ্গনা সংঘাত আরও চরমে। সকালেই ‘বেআইনি নির্মাণ’-এর অভিযোগ এনে কঙ্গনা রানাউতের মুম্বইয়ের অফিসের একাংশ ভেঙেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। যার প্রতিবাদ করে অভিনেত্রীর বিস্ফোরক ট্যুইট, “মণিকর্ণিকা ফিল্মসে অযোধ্যা সিনেমার ঘোষণা হল। এই অফিস আমার কাছে রাম মন্দির। আজ বাবর বাহিনী সেখানে এসেছে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। আরও একবার রাম মন্দির ভাঙা হবে। কিন্তু মনে রাখ্ বাবর, এই মন্দির আবার তৈরি হবে। এই মন্দির আবার তৈরি হবে। জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম। নমস্কার।” তিনি এখানেই থামেননি। আরও একধাপ এগিয়ে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ হয়েছে বলে অভিযোগ করে পাকিস্তানের সঙ্গে মহারাষ্ট্র প্রশাসনের তুলনাও করেছেন কঙ্গনা।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগে বসেছেন শিবসেনা নেত্রী তথা বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র কিশোরী পেডনেকর। তাঁর সাফ কথা, মহারাষ্ট্রের মানুষকে অপমান করেছেন অভিনেত্রী। মহারাষ্ট্র পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কঙ্গনার বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে বলেই বিএমসি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। নোটিশ দিয়েই বেআইনি নির্মাণ ভেঙেছে পুরসভা। যদিও অফিস ভাঙার বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে বোম্বে আদালত।
সংশ্লিষ্ট মহলের মত, আদালতে শুনানি হওয়ার আগেই কঙ্গনার অফিসে বুলডোজার নিয়ে চলে যাওয়া এবং একাংশ ভেঙে ফেলা আসলে শিবসেনার ‘ক্ষমতার আস্ফালন’। এমনকি কঙ্গনা নিজে এদিন এই অভিযোগ তুলেই ফের সরব হয়েছেন। হিমাচল থেকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নিয়ে মুম্বই ফিরেই ভিডিও বার্তায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী। বাবর, অযোধ্যা, রাম মন্দির, পাক অধিকৃত কাশ্মীর, পাকিস্তানের মতো প্রসঙ্গের পর এবার তাঁর ট্যুইট, “উদ্ধব ঠাকরে তোর কী মনে হয়, ফিল্ম মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার ঘর ভেঙে বদলা নিলি? আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহংকার ভাঙবে।” একই সঙ্গে এদিন, দেশবাসীর কাছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর সিনেমা তৈরির প্রতিজ্ঞাও করেন তিনি।