১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে সুশান্তের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তখন থেকেই সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়। কুপার হাসপাতালে প্রয়াত অভিনেতার ময়নাতদন্ত হলেও, সেই রিপোর্টে বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল। মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ ছিল না। সুশান্তের ময়নাতদন্ত ও ২০ শতাংশ ভিসেরা পরীক্ষা করে এইমস জানিয়ে দেয়, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু এইমসের এই রিপোর্ট মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সরব হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী। তাঁর ট্যুইট, "এক প্রতিভাধর ব্যক্তি আচমকা এক সকালে উঠে নিজেকে খুন করতে পারে না। সুশান্ত জানিয়েছিল ওর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। ওকে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে। এও বলেছিল যে, মুভি মাফিয়ারা ওকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। ওকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওর উপর ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে ওকে মানসিকভাবে আরও বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়।"
এক ট্যুইটে থামেননি কঙ্গনা। একের পর এক ট্যুইটে বলিউডের বড় প্রোডাকশন হাউসের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব চেয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, "সুশান্ত বারবার বলত বড় প্রোডাকশন হাউসগুলি ওকে ব্যান করে দিয়েছে। তারা কারা? কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল? কেন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ধর্ষণকারীর মিথ্যা তকমা দিয়ে খবর প্রচার করল? মহেশ ভট্ট বা কেন তাঁর সাইকোঅ্যানালিসিস করতে শুরু করলেন?"
যশরাজ ফিল্মসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। তার অনেকগুলি ছবি দিনের আলো দেখেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত জানিয়েছিলেন, তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কঙ্গনার ট্যুইট "সুশান্ত বলেছিল সে বুলিংয়ের শিকার, ওকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।" সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে একাধিক বিষয়ে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। এবার এইমসের রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।