নয়াদিল্লি: আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। হাসপাতালের চিকিত্সকরা অ্যাম্বুলেন্স দিতে অস্বীকার করায় বাবার কাঁধেই প্রাণ হারাল ১২ বছরের কিশোর। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। ১২ বছরের অনশ প্রবল জ্বর ও ডায়েরিয়াতে ভুগছিল।তার বাবা  তাকে হ্যালেট হাসপাতাল (বর্তমানে লালা লাজপত রাজ কলেজ হাসপাতাল) –এ ছেলেকে নিয়ে যান। চিকিত্সকরা অনশকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।   এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনশের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও স্ট্রেচারের বন্দোবস্ত করার অনুরোধ করেন বাবা। কিন্তু অনশের বাবার সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়।
এরপর বাবা বাধ্য হয়ে অনশকে কাঁধে চাপিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অনশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ওড়িশায় সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার খবরে সারা দেশে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। দানা মাঝি নামে এক দরিদ্র গ্রামবাসীর স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর স্ত্রীর মরদেহ কাঁধে চাপিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন দানা মাঝি। সঙ্গে ছিল ১২ বছরের কিশোরী কন্যা। ওই ঘটনাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ওড়িশার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে উত্তরপ্রদেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অমানবিকতায় প্রাণ হারাল ১২ বছরের কিশোর।