এই ঘটনায় প্রবীণ কুমার নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এ ব্যাপারে হোর্ডিং টাঙিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতার করবে তারা।
ব্যবসায়ীদের এক নেতা জানিয়েছেন, এভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ার প্রতিবাদে এ বছর দীপাবলী পালন করবেন না তাঁরা।
ওই হোর্ডিংয়ের একপাশে কিম জং উনের ছবি, তাতে লেখা, পৃথিবী ধ্বংস করে তবে তিনি থামবেন, আর একপাশে মোদীর ছবি, তাতে লেখা, আমি ব্যবসা নষ্ট করে ছাড়ব। ওই সব হোর্ডিং ও পোস্টারে স্বল্প মূল্যের মুদ্রা সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শহরের কোনও ব্যাঙ্ক কয়েনে টাকা জমা নিতে চাইছে না, কারণ তাদের কাছে কয়েন রাখার অত আলমারি নেই। বহু মুদির দোকানে শুধু ১০-১৫ লাখ টাকার কয়েনই জমা রয়েছে, প্রত্যেক খুচরো বিক্রেতার কাছে রয়েছে ৬-৭ লাখ টাকার কয়েন।
সব মিলিয়ে ২০০ কোটি টাকার কয়েন এই মুহূর্তে ঘুরছে কানপুরে। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের কয়েনে মাইনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, সেই কর্মীরা আবার কয়েন খরচ করতে পারছেন না, কারণ দোকান, ব্যাঙ্ক- কেউ তাঁদের কয়েন নিচ্ছে না। অনেক ব্যবসায়ীর বক্তব্য, এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।
জেলা প্রশাসন এই সমস্যা মেটাতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এভাবে তাঁরা পোস্টার ছাপান বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীদের।
উল্টোদিকে বিজেপির বক্তব্য, সমস্যা থাকলে ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারতেন। দল তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যার সমাধান করত। তা না করে তাঁরা যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তার মধ্যে ক্ষুদ্র স্বার্থ রয়েছে বলে তাদের দাবি।