মেঘওয়াল তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি নিয়ে আদালতে যান। সওয়াল করেন, ওঁদের মন্তব্য অশালীন, শোয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কৌশল হিসাবে জেনেবুঝে করা হয়েছে। মেঘওয়ালের আরও অভিযোগ, জোহর ইচ্ছা করেই মহিলাদের সম্পর্কে অবমাননাসূচক মন্তব্য শোয়ে সম্প্রচার করেছেন। ওই মন্তব্য ‘লিঙ্গ-পক্ষপাতদুষ্ট’, ‘বাছবিচারহীন’ও বলেন তিনি।
জোহরের ‘কফি উইথ কর্ণ’ শো-তে মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের জেরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া একদিনের সিরিজে বসিয়ে দেওয়া হয় হার্দিক, রাহুলকে। দুজনকে সাময়িক সাসপেন্ড করে বিসিসিআই। তাঁদের দেশে ফিরে আসতে হয়। তবে ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসক কমিটি সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একজন ওমবুডসম্যান নিয়োগের আবেদন জানানোর পর সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়। হার্দিক ক্ষমা চেয়ে নেন, টিভি শোয়ে জোহরও দুঃখ প্রকাশ করে জানান, ওই দুই ক্রিকেটারের কঠিন অবস্থায় পড়ার জন্য তাঁর নিজেকেই দোষী মনে হচ্ছে। বিসিসিআই জানায়, তারা তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যবহার, আচার আচরণের ব্যাপারে কাউন্সেলিং করানোর কথা ভাবছে।
গত বছরও মেঘওয়াল আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন হার্দিকের বিরুদ্ধে। তিনি দলিত সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব বি আর অম্বেডকর সম্পর্কে ট্যুইটারে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তোলেন তাঁর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নয় বলে দাবি করেন হার্দিক।