নয়াদিল্লি: ১৯৯৯-এর ১৩ জুন। সীমান্তে তখন কার্গিল যুদ্ধের দামামা। সে সময় বায়ুসেনা নাকি পাক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল। আক্রমণের পুরো ছক কষা হয়ে গিয়েছিল, লক্ষ্য হয়েছিল স্থির। কোন বায়ুপথে হামলা চলবে, তা হয়েছিল চূড়ান্ত, পাইলটদেরও জানানো হয়েছিল তাঁদের ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ সম্পর্কে।

যদি সত্যিই হামলা চলত, তবে ‘৭১-এর পর ভারত- পাকিস্তান পুরোদস্তুর যুদ্ধের চেহারা নিত কার্গিল সংঘর্ষ। জানা গেছে, তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিংহের সঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রী সরতাজ আজিজের আলোচনা বিফল হওয়ায় প্রতিরক্ষামন্ত্রক পাক বিমানঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবে। আজিজকে বলা হয়েছিল, নিয়ন্ত্রণরেখা নতুন করে চিহ্নিত করার পাক দাবি প্রত্যাহার করা হোক। ৬ ভারতীয় জওয়ানকে যারা নির্মমভাবে অত্যাচার করে খুন করেছে, শাস্তি দেওয়া হোক তাদের। সেই দাবি পাকিস্তান না মানায়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভারত সরকার ঠিক জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৩ জুন ভোরে পাক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও রাওয়ালপিন্ডির চাকালায় পাকিস্তানের বিরাট একটি বায়ুসেনাঘাঁটিতে ৪টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়।

কিন্তু ১৩ তারিখ ঠিক সময় পাইলটরা স্কোয়াড্রনে রিপোর্ট করলে তাঁদের বলা হয়, চূড়ান্ত নির্দেশ এখনও আসেনি। আর কয়েক ঘণ্টা পর মিশনটিই বাতিল করা হয়। ঠিক কী কারণে ওই মিশন শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়, তা এখনও জানা যায়নি।