রাজ্য সরকার জানাচ্ছে, এখানে ভাল বর্ষা না হওয়ায় কাবেরী অববাহিকার সব বাঁধে মাত্র ৫০ টিএমসি ফুট জল রয়েছে। শুধু পানের জন্যই বেঙ্গালুরু সহ গোটা এলাকায় জল চাই ৪০ টিএমসি ফুট। এই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুকে জল দিতে হলে ঘোর বিপদে পড়বেন কর্নাটকের মানুষ, ফলে জল ছাড়া আপাতত সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সব দলের প্রতিনিধি, সাংসদ ও জেলার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের সঙ্গে মঙ্গলবারই বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কৃষকদের বক্তব্য, যখন পানেরই জল নেই, তখন যদি তামিলনাড়ুতে চাষবাসের জন্য জল ছাড়তে বলা হয়, তাহলে মানুষের রাগ স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ চলছে চামরাজনগর, মাইসোর ও হুব্বাল্লি এলাকায়। কৃষক ও অন্যান্য আন্দোলনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, তামিলনাড়ুকে জল ছাড়া হলে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন হবে। কিছু জায়গায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছবি ও পোস্টার পোড়ানো হয়েছে।
কাবেরীর জল নিয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যগুলির বিরোধ দীর্ঘদিনের। তামিলনাড়ুর পিটিশনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, শস্যের ক্ষতি রুখতে কর্নাটককে কাবেরীর জল ছাড়তে হবে।