নয়াদিল্লি: কর্নাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখলের গন্ধ পেতেই বিজেপি নেতৃত্ব বলতে শুরু করে দিলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন এজেন্ডার প্রতি জনতার রায়, মানুষ কংগ্রেসের বিভেদকামী, নেতিবাচক, বিষাক্ত কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কটাক্ষ করেছেন রাহুল গাঁধীকে। কংগ্রেস সভাপতি কর্নাটকে ভোটপ্রচার শেষে প্রকাশ্যেই বলে বসেন, পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে দল জয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তৈরি। প্রসাদ বলেন, কে যেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আজকের দিনটা বিজেপির কাছে ঐতিহাসিক, এই জয়ের মাধ্যমে মোদীর উন্নয়নমূলক এজেন্ডাকে কর্নাটকের মানুষ অনুমোদন করেছেন বলে অভিমত জানান আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লোকে কংগ্রেসের বিভেদমূলক, নেতিবাচক রাজনীতি গ্রহণ করেননি, মোদীর উন্নয়নের এজেন্ডায় আস্থা রেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ প্রকাশ জাভরেকর বলেন, বিজেপি জনতার পার্টি বলেই জিতেছে, কংগ্রেস পরিবারতান্ত্রিক দল। ঘটনাচক্রে তিনি ছিলেন কর্নাটকে বিজেপির নির্বাচনের ভারপ্রাপ্ত নেতা। তিনি বলেন, এটা মোদী ও দলীয় সভাপতি অমিত শাহের কৌশলের জয়।





মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি শীর্ষনেতা শিবরাজ সিংহ চৌহান ট্যুইট করলেন, কংগ্রেসের নাম বদলের সময় হয়েছে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস নাম ছেড়ে ওরা নতুন নাম নিক, কংগ্রেস (পিএমপি) অর্থাত পঞ্জাব, মিজোরাম, পুদুচেরি। কর্নাটকে খারাপ ফলের পর এই তিন রাজ্যেই এখন ক্ষমতায় টিকে রইল তারা।
২২৪ আসনবিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় এবার ভোট হয়েছে ২২২টিতে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে আর আর নগর কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নির্বাচন বাতিল হয়েছে জয়নগর কেন্দ্রে।