কালাবুর্গি:  জাতের নামে বজ্জাতি চলছেই। কর্নাটকের কয়েকটি গ্রামে এর আগে দলিতদের চুলদাড়ি কাটতে ক্ষৌরকারদের অস্বীকারের খবর আগেই জানা গিয়েছিল। এবার জেওয়ার্গি তালুকের একটি গ্রামে দলিতরা যাতে পানীয় জল না পায় সেজন্য উঁচুজাতের ব্যক্তি একটি কুয়োর জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।


এক সপ্তাহ আগে ওঠা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট গ্রামে গতকাল গিয়েছিলেন রাজ্যের তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান এ মুনিয়াপ্পা। ওই কুয়ো দখলে নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যেখানে কুয়োটি রয়েছে সেই জমির মালিক অমলাপ্পা মাঙ্গ নামে এক দলিত। কিন্তু চার বছর আগে ওই জমিটি গ্রামেরই উঁচুজাতভুক্ত গোল্লালাপ্পাগৌড়া কুকানৌর নামে এক ব্যক্তি লিজে নিয়েছেন।

দৌলাপ্পা হোসামানি নামে এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, যেদিন থেকে ওই জমিটি লিজে দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকেই ওখানকার কুয়ো থেকে যাতে দলিতরা জল তুলতে না পারেন, তার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই মহানতাপ্পা নামে এক দলিত জল তুলতে গিয়ে কুয়োর জলের ওপর তৈলাক্ত কিছু একটা ভাসতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অন্যান্যদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দেন।

জেওয়ার্গি তালুকের তহশিলদার জানিয়েছেন, জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।  ল্যাবরেটরিতে জলের নমুনা পরীক্ষায় নিষিদ্ধ কীটনাশক এন্ডোসালফান পাওয়া গিয়েছে। তালুকের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দলকে জলের নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। কুয়োর জল খালি করার জন্য একটি দল নিযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ অবশ্য, ওই কুয়োর জলের সম্পর্কে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট হাতে পায়নি।

এই ঘটনায় গোল্লালাপ্পাগৌড়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলার  পাশাপাশি তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের প্রতি অত্যাচার প্রতিরোধ আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও কুয়োর জলে মরা কুকুর, বিড়াল এমনকি সাপও ফেলা হয়েছে।