নয়াদিল্লি: কার্তি চিদম্বরমের আরও তিনদিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। সিবিআই কার্তির হেফাজতের মেয়াদ নয়দিন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল। পাঁচদিনের হেফাজত শেষে আজ  কার্তিকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে দিল্লির আদালতে সিবিআই যুক্তি দেয় যে, তারা কার্তির বিরুদ্ধে 'জোরাল বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ' সম্প্রতি হাতে পেয়েছে।
উল্লেখ্য, আইএনএক্স মিডিয়া লগ্নি মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গত পাঁচদিন ধরে তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই।
কার্তি আদালতে জামিনের আর্জি জানান। তিনি দাবি করেন, তাঁকে হেফাজতে রাখার কোনও কারণই নেই।
কার্তির জামিনের আর্জির পরবর্তী শুনানি হবে ৯ মার্চ।
সিবিআই অভিযোগ করেছে যে, কার্তি তাঁর বাজেয়াপ্ত হওয়া ফোনগুলির পাসওয়ার্ড দিতে রাজি হচ্ছেন না। 'প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন' করা হলে কার্তি শুধুই বলছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
অন্যদিকে, কার্তির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এদিন আদালতে বলেন, এটা ১০ বছরের পুরানো মামলা। এতে ফাইলে বদল আনা বা আধিকারিকদের সাক্ষ্য বদলের কোনও সম্ভাবনাই নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এভাবে জেরা করা যায় না।
সিবিআই যুক্তি দেয়, এই মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। কার্তির হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি মঞ্জুর না হলে তদন্তের পক্ষে অন্তরায় হবে।
কার্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা আইএনএক্স মিডিয়াকে নিজের বাবার প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিদেশী লগ্নির বন্দোবস্ত করে দিতে ঘুষ চেয়েছিলেন তিনি। ওই সময় কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। ইন্দ্রাণীর দাবি, ১০ লক্ষ ডলার ঘুষ চেয়েছিলেন চিদম্বরম-পুত্র। কিন্তু তারা কার্তির চারটি সংস্থাকে ৭ লক্ষ ডলার দিয়েছেন। সিবিআইয়ের দাবি, ইন্দ্রাণীর বয়ান মিলিয়ে ৭ লক্ষ ডলার ঘুষের বিলও মিলেছে। কিন্তু সিবিআইয়ের কাছে টাকা হাতবদলের প্রমাণ নেই। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, কার্তির একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা কোনও রাজনীতিকের কাছে পৌঁছেছে। ইডির অভিযোগ, ২০০৭-এ আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি লগ্নি আনতে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়।