জম্মু: জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের পাথর ছোঁড়া, আজাদির দাবি ছেড়ে ভারতে থেকেই 'আসল স্বাধীনতা'র স্বাদ নেওয়া উচিত, এই অভিমত জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রবল ভাবে ট্রোলড হল এনসিসি-র এক মহিলা ক্যাডেট। জম্মুর নিকটবর্তী নাগরোটায় সৈনিক স্কুলের এনসিসি ক্যাম্পে ট্রেনিং নিচ্ছে মেয়েটি। তার বেশ কয়েকজন সহপাঠীরও একই মত।

অনন্তনাগের সরকারি ডিগ্রি কলেজের মৃদুভাষী ছাত্রীটি জানিয়েছে, বাকি মেয়েদের বাবা-মায়েরা অশান্তির ভয়ে তাদের ক্যাম্পে যোগদানের অনুমতি দেয়নি, একমাত্র তার কলেজ থেকে সে-ই যোগ দিয়েছে।

সে পোস্টে লিখেছে, আমি যুবকদের বলতে চাই, সত্যিই যদি আজাদি চাও, তাহলে তা এখানেই পাবে। প্লিজ, আজাদির জন্য স্লোগান দেওয়া, পাথর ছোঁড়া, মিছিলের মতো খারাপ কাজে জড়িও না। আজাদি কিছুই নয়।
নিউজ রিভিউ নামে অনামী একটি নিউজ পোর্টালের করা মেয়েটির বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হতেই শুরু হয় ট্রোলিং।

সেই পোর্টাল ভিডিওটি ডিলিট করে মেয়েটির মুখ না দেখিয়ে নতুন করে পোস্ট করে। তারপরও চলতে থাকে তাকে গালিগালাজের বন্যা। একজন বলে, যা, ভারতীয় কুত্তাদের দলে যোগ দে! ফেসবুকে এভাবে দাত-নখ বের করে তাকে আক্রমণের প্রতিবাদ করায়ও বিদ্রুপ সইতে হয় বেশ কয়েকজনকে।

শখানেকের বেশি কাশ্মীরী ক্যাডেট ওই ক্যাম্পে এসেছে, যাদের মধ্যে মেয়েও আছে বেশ কিছু। ওদের জম্মু ও কাশ্মীর থাল সৈনিক টিমের জন্য নির্বাচিত করা হবে। দিল্লিতে শীঘ্রই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে ওই টিম।

গত জানুয়ারিতেও 'দঙ্গল' ছবিতে গীতা ফোগতের রোলে অভিনয় করে প্রশংসা পাওয়া কাশ্মীরী মেয়ে জায়রা ওয়াসিমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয় জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে তার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। জায়রাকে 'কাশ্মীরের রোল মডেল' বলেন মেহবুবা। সেজন্য চড়া দাম দিতে হয় অভিনেত্রীকে।