শ্রীনগর: কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নানা পথের কথা ভাবছে কেন্দ্র। শান্তি আলোচনা ফের শুরু করত্ চায় তারা। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে হয় এই পর্যালোচনা বৈঠক। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও ছিলেন বৈঠকে।

সেখানে তাঁদের বিশদে জানানো হয়, কাশ্মীর কী জটিলতার মধ্য দিয়ে চলেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে শান্তি ফেরানো সম্ভব কী না আলোচনা হয়েছে তা নিয়েও।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধানের আওতার মধ্যে কেন্দ্র সকলের সঙ্গে কথা বলতে তৈরি। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা যায়নি, যাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে এই হিংসা বন্ধ হওয়া সম্ভব।

গতকাল আবার পুলওয়ামা ডিগ্রি কলেজের বাইরে পুলিশ-সিআরপি চৌকি বসানো নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ধুন্ধুমার হয়। কয়েক হাজার স্কুল ও কলেজ ছাত্র রাস্তায় বেরিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর পাথর ছুঁড়তে থাকে। সংঘর্ষে আহত হয় ৫০-এর বেশি ছাত্র।

প্রতিবাদে উপত্যকা জুড়ে ছাত্ররা কাল ক্লাস বয়কট করে।

তা ছাড়া যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটার পর একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে খারাপভাবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, তা নিয়েও চিন্তিত কেন্দ্র। কারণ, দেখা যাচ্ছে, ভিডিওগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জাল, পোস্ট করা হচ্ছে পাকিস্তান থেকে।

নিরাপত্তা আধিকারিকরা খবর পেয়েছেন, উপত্যকার পরিবেশ আরও খারাপ করার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান। এবার স্থানীয় পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে টার্গেট করতে পারে তারা।

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজ্যপাল এন এন ভোরার সঙ্গে দেখা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা অবশ্য পিডিপি-বিজেপি সরকারকে বাতিল করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়েছেন। তাঁর কথায়, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি হাতের বাইরে। বর্তমান সরকার যদি ক্ষমতায় থেকে যায়, তবে ধ্বংস ছাড়া আর কিছু দেখা যাবে না।