জম্মু: চেনাব উপত্যকায় লস্কর ই তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি মডিউলের পর্দাফাঁস করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। এলাকায় জঙ্গিয়ানাকে অক্সিজেন দেওয়ার কাজ করছিল এরা। ওই মডিউলের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক স্পেশাল পুলিশ অফিসার বা এসপিও সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোষ্ঠী ডোডা-কিস্তওয়ার এলাকায় জঙ্গিয়ানা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল। ৮ তারিখ ডোডায় একটি পুলিশ চৌকিতে জঙ্গি হামলায় ১ এসপিও-র মৃত্যু হয়, আহত হন ১ জন। সেই ঘটনার সূত্রেই পুলিশের গোয়েন্দারা এই লস্কর মডিউলের সন্ধান পান। তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার এখনও কোনও লক্ষণ নেই। সেনা জানিয়েছে, উত্তপ্ত দক্ষিণ কাশ্মীর এলাকায় ১০০-র বেশি জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে, তাদের খতম করার চেষ্টা চলছে। যাতে স্থানীয় যুব সম্প্রদায় জঙ্গিদের সঙ্গে হাত না মেলায় তা দেখতে কথা চলছে তাদের পরিবারের সঙ্গে। যেখানে যেখানে স্থানীয়দের পাথর ছোঁড়ার জেরে সেনা অপারেশন বিঘ্নিত হচ্ছে, সেসব জায়গা পুরোদস্তুর ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাবে সেনা। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, কুলগাম ও সোপিয়ানের মত জায়গায় শেষ কয়েকমাসে বারবার আক্রান্ত হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বেশ কিছু ঘটনায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারাও বাহিনীর ওপর পাথর ছুঁড়েছে। তবে সেনা জানাচ্ছে, এ ব্যাপারে উদ্বেগের কিছু নেই। ৪-৫টি কলেজের ৪০-৫০জন পড়ুয়া অশান্তি পাকাচ্ছে। তাদের যারা খ্যাপাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের বিশ্বাস, উপত্যকায় এ বারের গ্রীষ্ম শান্তিপূর্ণ হবে। তরুণ লেফটেন্যান্ট উমর ফয়াজের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর স্থানীয় সেনাকর্মীদের এই মুহূর্তে বাড়ি না ফেরার পরামর্শ দেওয়া  হয়নি বলে সেনা জানিয়েছে। তবে যদি স্থানীয় কেউ বাড়ি যেতে চান, তবে তাঁকে সেই এলাকার সেনা ছাউনিতে খবর দিতে বলা হয়েছে, যাতে তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়।