নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয় প্রতিবাদীদের সংঘর্ষ অব্যাহত। এখনও উত্তপ্ত সেখানকার পরিস্থিতি। জারি রয়েছে কার্ফু। রাজ্যের তিন জেলায় বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। ধর্মঘট ডেকেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিও। এর জেরে গাড়ি না চলায় বন্ধ রয়েছে স্থানীয় দোকান পাট। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ জনজীবন।

প্রসঙ্গত, সেনা জওয়ানরা এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানী করেছিল বলে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হচ্ছিল কাশ্মীরের হান্দোয়ারা এলাকা। মঙ্গলবার পরিস্থিতি সামলাতে গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোঁড়ে নিরাপত্তারক্ষীরা। মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। গতকাল পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হয় আরও একজনের।

ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। যে সব নিরাপত্তারক্ষী আইনশৃঙ্খলার অপব্যবহার করে গুলি চালিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কিন্তু সেনাবাহিনীর দাবি, এধরনের কাজ কোনও সেনা করেননি। যে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি অবশ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন সেনাকর্মীরা নয়, তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিল স্থানীয় দুই যুবক। সেনার তরফে ছাত্রীটির সেই ভিডিও বিবৃতি প্রকাশও করা হয়।

কিন্তু এত কিছু করেও বিক্ষোভ কমানো যায়নি। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ চলছে। কার্ফু জারি রয়েছে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়া, ক্রালগুন্ড, হান্দোয়ারা, মাগাম, লাঙ্গেট এলাকায়।

বুধবারই কাশ্মীরের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি জরুরি তদন্তের দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার মিছিলে গুলি চালানোর ঘটনায় এক অফিসারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।