শ্রীনগর: শুক্রবার নামাজের পর আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। এই আশঙ্কায় উপত্যকা জুড়ে আরও কড়া হল কারফিউ। সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার মসজিদে মসজিদে যেহেতু বড়সংখ্যক মানুষ নামাজ পড়তে আসেন, তাই সেখান থেকে উত্তেজক বার্তা গেলে সংকট আরও বাড়তে পারে, কারণ শুক্রবার নামাজের পর কাশ্মীরে অশান্তি নতুন কিছু নয়। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপত্যকার ১০টি জেলাতেই কারফিউ চালু করা হয়েছে। শান্তিরক্ষা করতে নামানো হয়েছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী।

গুজব ছড়ানো রুখতে মোবাইল টেলিফোন পরিষেবাও উপত্যকা জুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও চালু করা হয়েছে বিএসএনএলের পোস্টপেড কানেকশন। কেন বিএসএনএলের পোস্টপেড সংযোগ চালু রাখা হল, তার কোনও সদুত্তর না মিললেও ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু সরকারি অফিসার ও পুলিশ কর্মীরা এই পরিষেবা ব্যবহার করেন, তাই বিএসএনএল চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাঙ্গাকারীরা যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

তবে বৃহস্পতিবার থেকে কাশ্মীরে বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। এখনও পর্যন্ত দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ৩৮জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৩,১৪০জন।