নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর অশান্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ নিয়ে পর পর তিনদিন উপত্যকার স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে  কাশ্মীরে গণভোটের দাবি তুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। পাকিস্তান কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করে থাকা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে ইসলামাবাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।


বুরহানকে ‘কাশ্মীরি নেতা’ আখ্যা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভারত কাশ্মীরে আন্দোলন রুখতে ‘দমনমূলক নীতি’ প্রয়োগ করছে এবং ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ করছে বলে এক বিবৃতিতে মন্তব্য করেছেন শরিফ। তিনি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতে থাকবেন, না পাকিস্তানের সঙ্গে থাকবেন, তা গণভোটের মাধ্যমে তাঁদেরই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক।

শরিফ আরও বলেছেন, এভাবে বন্দুক দেখিয়ে নিরস্ত্র কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম থেকে পিছু হঠানো যাবে না। কেননা, রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদেই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক, ইয়াসিন মালিক সহ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের আপাতত গৃহবন্দি রেখে প্রশাসন। পাক প্রধানমন্ত্রী এ সম্পর্কেও উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। ভারত জম্মু-কাশ্মীরে মানবিধাকার লঙ্ঘন করছে বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শরিফের এই মন্তব্যের পাল্টা কঠোর জবাব দিয়েছে ভারত। রিজিজু বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে যা ঘটছে তা ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। পাকিস্তান যদি কিছু করতে চায়, তাহলে তারা কাশ্মীরের যে অংশ বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে।

অন্যদিকে, ঘোলা জলে মাছ ধরতে পিছিয়ে নেই জঙ্গি সংগঠনগুলিও। সীমান্তের ওপার থেকে তারা কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আরও উস্কানি দেওয়ার কাজে নেমে পড়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রকাশ্যে সভায় বৈঠক  করেছে মুম্বই হামলার মুল পান্ডা জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের সায়িদ সালাহউদ্দিন।