চন্ডীগড়: ধর্ষণের পর খুন করা জম্মুর কাঠুয়ার ৮ বছরের মেয়ের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার ও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে নোটিস দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া অভিযুক্তকেও নোটিস দিয়েছে আদালত।
গত ১০ জুলাই নির্যাতিতার বাবা আবেদন করেন, দোষীদের শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হোক। তাদের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি করেন তিনি, বিশাল জাঙ্গরোত্রা নামে এক অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করেন।
আবেদনকারীর কৌঁসুলি উত্সব বাইনস বলেন, বৃহস্পতিবার আদালত জম্মু ও কাশ্মীর সরকার, মামলার সব অভিযুক্তকে নোটিস দিয়েছে। বিচারপতিদ্বয় রাজীব শর্মা ও হরিন্দর সিংহ সিধুর বেঞ্চ ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বলে জানান তিনি।
মেয়েটির বাবার আবেদন, ধর্ষণ ও হত্যার মূল চক্রী সাঞ্জি রাম, স্পেশাল পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া ও পরবেশ কুমারের যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হোক। স্পেশাল পুলিশ অফিসার সুরেন্দ্র ভার্মা, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ ও সাব ইনস্পেক্টর আনন্দ দত্তের ৫ বছরের কারাবাস বেড়ে হোক যাবজ্জীবন জেল। ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, খুন, অপহরণ, গণধর্ষণ, তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা, নির্যাতিতাকে মাদক খাইয়ে অচেতন করা, একই উদ্দেশ্য নেওয়া সংক্রান্ত রণবীর পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
গত বছর এপ্রিলে পেশ হওয়া চার্জশিট অনুসারে মেয়েটিকে ১০ জানুয়ারি অপহরণ করে স্থানীয় গ্রামের একটি মন্দিরে আটকে ওষুধ খাইয়ে চারদিন ধরে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে তাকে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
মন্দিরের কেয়ারটেকার ছিলেন সাঞ্জি রাম।