উধমপুর: কাঠুয়ায় আট বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চাইছে শোকস্তব্ধ পরিবার। মেয়েটির মা বলেছেন, ‘ও সুন্দর, বুদ্ধিমতী ছিল। আমি ওকে ডাক্তার করতে চেয়েছিলাম। ওকে কেন খুন করা হল? ও গবাদি পশু চরাচ্ছিল আর ঘোড়াদের উপর নজর রাখছিল। ওর বয়স ছিল মাত্র আট বছর। ওকে কেন এরকম নৃশংসভাবে খুন করা হল? ওদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।’ মেয়েটির বাবা বলেছেন, ‘আমরা সিবিআই তদন্ত চাই না। ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের তদন্তের উপর আমাদের আস্থা আছে। খুনিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া উচিত।’

মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তার যখন এক বছর বয়স ছিল, তখন তাকে দত্তক নেন মামা। তাঁরা থাকেন কাঠুয়া জেলার রসনা অঞ্চলে। মেয়েকে ভাইয়ের কাছে রাখার জন্য এখন আফশোস করছেন ওই মহিলা। তিনি আরও বলেছেন, ‘আগে হিন্দুদের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক ছিল। আমরা একসঙ্গে ভালভাবেই থাকতাম। কিন্তু এই ঘটনার পর সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন ভয় পাচ্ছি। আমরা শুধু মেয়ের খুনের বিচার চাই।’

মেয়েটির বাবা আরও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু তারা কীভাবে মেয়েদের শিক্ষা দিচ্ছেন আর বাঁচাচ্ছেন? মন্ত্রীরা ধর্ষণে অভিযুক্তদের সমর্থন করছেন। তাঁদের নির্দোষ বলে দাবি করছেন। সারা বিশ্ব জানে, আমার মেয়ে হিন্দু-মুসলিমের পার্থক্য বুঝত না। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই ঘটনাকে দেখা উচিত নয়।’

মেয়েটির পরিবারের লোকজন এই পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতি বছরের মতো উঁচু পাহাড়ে তৃণভূমির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। কাঠুয়ার এসএসপি সুলেমান চৌধুরী বলেছেন, ‘ওঁরা প্রতি বছরই গ্রীষ্মকালে কাঠুয়া ছেড়ে চলে যান। তাঁদের কেউ চলে যেতে বাধ্য করেনি। তাঁরা পালিয়েও যাননি।’