নয়াদিল্লি:  কাঠুয়া, উন্নাওয়ে গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। ধর্ষণের নৃশংতায় নড়ে গিয়েছে দেশের 'সিস্টেমে'র ভীত। উন্নাওয়ে ধর্ষণের পর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার বাবার। কারণ, তিনি অভিযুক্তের শাস্তির দাবি তুলেছিলেন, বিচার চেয়েছিলেন মেয়ের জন্যে। কাঠুয়াকাণ্ডেও আইনজীবীদের একটি দল পুলিশকে এফআইআর দায়ের করতেও বাধা দেয়। কাঠুয়ার ছোট্ট নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সওয়াল করছেন যে আইনজীবী, সেই দীপিকা সিংহ রাজাওয়াতের কাজেও ব্যঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে বারংবার সিস্টেমের সাহায্যে অপরাধীরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেঁচে যেতে পারে না। গর্জে উঠেছে বিভিন্ন মহল। রাগে ফুঁসছেন দুবার বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য গৌতম গম্ভীর। তিনি সরাসরি তাঁর টুইটে 'সিস্টেম'কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখেছেন, এবার সময় হয়েছে সেই সাহস দেখানোর, যেখানে আসল অপরাধীকে যেন শাস্তি দিতে পারে দেশের আইন।





গম্ভীর, বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে নানা সময়ই সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর কথায় উন্নাও এবং কাঠুয়ায় ধর্ষিত হয়েছে ভারতের চেতনা। এরপর যদি বিচার না পায় নির্যাতিতার পরিবার, তাহলে দেশের 'সিস্টেম' যে খুন হয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য। তাই এবার সেই সিস্টেমের ঘুরে দাড়ানোর সময়, দেখানোর সময় যে কোনও রাজনীতির রঙ, ধর্মের রঙের সামনে মাথা নত না করে, দেশের আইন অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতম সাজা দিতে সক্ষম।




গম্ভীর সেই সমস্ত আইনজীবীদেরও ছেড়ে কথা বলেননি, যাঁরা কাঠুয়া নির্যাতিতার হয়ে সওয়াল করা আইনজীবীকে তাঁর কাজে বাধা দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, উন্নাওয়ে এক অষ্টাদশীকে ধর্ষণের দায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে বহু টালবাহনার পর আজ ভোররাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিকে কাঠুয়ায় এক ৮ বছরের নাবালিকাকে একটি প্রার্থনা হলের ভেতর সাতদিন ধরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। সঙ্গে তাকে অচৈতন্য করে রাখার জন্যে দেওয়া হয় ঘুমের ওষুধ। তারপর তাকে পা দিয়ে চেপে খুন করে এক অভিযুক্ত। তবে খুন করার কিছুমুহূর্ত আগেও তাকে ধর্ষণ করে এই পুরো চক্রান্তে সামিল হওয়া আর এক অভিযুক্ত। খুনের পর পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় সেই নাবালিকার মাথা।