কাটজুর বিরুদ্ধে জেলা আদালতে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পটনার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওম প্রকাশের এজলাসে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২৪-এ, ৫০০ (অবমাননার জন্য সাজা), ৫০১(অবমাননাসূচক লেখাপত্র প্রকাশ) ও ৫০৫ (জনজীবনে দুষ্কর্মমূলক মন্তব্য করা) ধারায় মামলা দায়ের করার আর্জি সম্বলিত পিটিশন পেশ করেন অরবিন্দ কুমার নামে এক আইনজীবী। শুনানির দিন ঠিক হয়নি এখনও।
গতকাল কাটজুর বিহার সম্পর্কে মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী প্রসাদ যাদব, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝি, জেডি (ইউ) নেতা কে সি ত্যাগী, শ্যাম রজক। কাটজু বিহারের ‘মাই-বাপ’ (অভিভাবক) হতে চাইছেন বলে কটাক্ষ করেন নীতীশ। গতকালই কাটজু চাপের মুখে সুর নরম করে ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বিহার সম্পর্কে স্রেফ মজা করেছি!’ কিন্তু আজ ফের পুরানো মেজাজে সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, বিহারীরা বরং আমার নামে রাষ্ট্রপুঞ্জে নালিশ করতে পারেন! নীতীশকে উদ্দেশ্য করে আজ ফেসবুকে লেখেন, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় তিনি ভগবান কৃষ্ণের কাছে তাঁর আব্রু বাঁচানোর প্রার্থনা করেছিলেন, নীতীশ কুমার বলছেন, আমি নিজেকে বিহারের মাই-বাপ ভাবছি। না নীতীশজী, আমি বিহারীদের মাই-বাপ নই, বরং ওদের শকুনি মামা!