পটনা: বিহার সম্পর্কে বিতর্কিত কটাক্ষ করায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু হল মার্কন্ডেয় কাটজুর বিরুদ্ধে। বিহারকেও নিতে হবে, এই শর্ত মানার সাপেক্ষে কাশ্মীর পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হোক, ফেসবুক পোস্টে এই মন্তব্য করে নানা মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে জনতা দল (ইউ) বিধান পরিষদ সদস্য তথা দলের রাজ্য মুথপাত্র নীরজ কুমার গতকাল সন্ধ্যায়ই শাস্ত্রীপ্রতাপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই কাটজুকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা) ও অন্যান্য ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই থানার এসএইচও বীরেন্দ্র প্রতাপ।


কাটজুর বিরুদ্ধে জেলা আদালতে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পটনার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওম প্রকাশের এজলাসে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২৪-এ, ৫০০ (অবমাননার জন্য সাজা), ৫০১(অবমাননাসূচক লেখাপত্র প্রকাশ) ও ৫০৫ (জনজীবনে দুষ্কর্মমূলক মন্তব্য করা) ধারায় মামলা দায়ের করার আর্জি সম্বলিত পিটিশন পেশ করেন অরবিন্দ কুমার নামে এক আইনজীবী। শুনানির দিন ঠিক হয়নি এখনও।

গতকাল কাটজুর বিহার সম্পর্কে মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার,  রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী প্রসাদ যাদব, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝি, জেডি (ইউ) নেতা কে সি ত্যাগী, শ্যাম রজক। কাটজু বিহারের ‘মাই-বাপ’ (অভিভাবক) হতে চাইছেন বলে কটাক্ষ করেন নীতীশ। গতকালই কাটজু চাপের মুখে সুর নরম করে ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বিহার সম্পর্কে স্রেফ মজা করেছি!’ কিন্তু আজ ফের পুরানো মেজাজে সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, বিহারীরা বরং আমার নামে রাষ্ট্রপুঞ্জে নালিশ করতে পারেন! নীতীশকে উদ্দেশ্য করে আজ ফেসবুকে লেখেন, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় তিনি ভগবান কৃষ্ণের কাছে তাঁর আব্রু বাঁচানোর প্রার্থনা করেছিলেন, নীতীশ কুমার বলছেন, আমি নিজেকে বিহারের মাই-বাপ ভাবছি। না নীতীশজী, আমি বিহারীদের মাই-বাপ নই, বরং ওদের শকুনি মামা!