নয়াদিল্লি: ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন’-এর সোনালি দিন শেষ। দিল্লির মসনদে অরবিন্দ কেজরীবাল ও তাঁর মন্ত্রীসান্ত্রীদের আর চিনতে পারছেন না আন্না হাজারে। অশীতিপর বৃদ্ধ পরিষ্কার জানিয়েছেন, কেজরীবাল ও তাঁর এএপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মানুষের সঙ্গে। তাঁদের ওপর ভরসা রেখে মানুষ তাঁদের দিল্লির শাসনভার দিয়েছিল। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেনি তারা।


এএপি প্রতিষ্ঠার পর অল্প কয়েক বছর কাটলেও এর মধ্যেই দলের মন্ত্রী, বিধায়কদের বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আসনচ্যুত মন্ত্রী সন্দীপ কুমার তো ধর্ষণের অভিযোগে জেলেও গিয়েছেন। অথচ আন্না হাজারের দীর্ঘ অনশন ও দুর্নীতি বিরোধী জেহাদে ভর করেই রাজনৈতিক দল গড়েছেন এঁরা, দিল্লির ক্ষমতাও দখল করেছেন। সেদিনের বিপ্লবীদের এই ‘কালিমালিপ্ত’ চেহারা দেখে প্রচণ্ড অখুশি আন্না বলেছেন, সন্দীপ কুমার ও অন্যান্য এএপি নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তাঁর কথায়, নেতারা তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও উচিত নিজেদের চরিত্রের দিকে খেয়াল রাখা। বিশেষ করে তাঁর আশাভঙ্গ হয়েছে কেজরীবালের ব্যবহারে। দলের নেতাদের চরিত্র ঠিক রাখার জন্য তাঁর পরামর্শ কেজরী মানেননি বলে আন্নার অভিযোগ।

আন্না বলেছেন, গোটা দেশ আশা করেছিল, কেজরী দেশকে নতুন পথ দেখাবেন কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, এভাবেই কি ‘স্বরাজ’-এর মত আদর্শের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে?