নয়াদিল্লি: দিল্লির অপসারিত মন্ত্রী কপিল মিশ্র আরও একটি বোমা ফাটালেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগের তির ছুঁড়ে কপিল বলেছেন, হাওয়ালা কারবারীদের সঙ্গে কেজরীর যোগ রয়েছে, তাই কেন্দ্র ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করায় অতটা চটে যান তিনি।

কপিলের অভিযোগ, দিল্লির জনৈক আইনজীবী রোহিত ট্যান্ডনের সংস্থা থেকে টাকা পেত আম আদমি পার্টি। নোট বাতিলের পর ওই সংস্থার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাজেয়াপ্ত করে। কপিলের বক্তব্য, কেজরীর কাছের লোকদের কালো টাকার ভাণ্ডারে এভাবে ইডি হানা দেওয়ায় রেগে আগুন হন কেজরী। তাই গোটা দেশে ঘুরে নোটবাতিলের বিরুদ্ধে প্রচার চালান তিনি।

তাঁর ফের ঘোষণা, কেজরীবালের কলার তাঁর হাতে, তাঁকে তিনি তিহার জেলে পুরে ছাড়বেন।

আম আদমি পার্টি অবশ্য এই টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যে সব দানের টাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেই ২ কোটি টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সব নিয়ম মেনে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে বলে তাদের দাবি।

২০১৪-র ৫ এপ্রিল জমা পড়া ওই বিপুল টাকা তাদের কোষাগারে কে জমা দিল তার বিন্দুবিসর্গ জানা নেই বলে প্রথমে দাবি করে আপ। ৪টি ৫০ লাখ টাকার চেক মারফত জমা পড়ে ওই টাকা। গতকাল অবশ্য পূর্ব দিল্লির জনৈক ব্যবসায়ী মুকেশ কুমার দাবি করেন, ওই টাকা তিনিই দিয়েছেন তাঁর চারটি কোম্পানি মারফত।

কিন্তু কপিল মিশ্রর বক্তব্য, ওই কোম্পানিগুলি ভুয়ো কারণ যে সময় ওই টাকা জমা পড়ে, তখন মুকেশ কুমার ৪টির মধ্যে ২টির ডিরেক্টর ছিলেন না। তাঁর দাবি, কেজরী হেমপ্রকাশ শর্মা নামে একজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, যিনি কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর। হেমপ্রকাশই অবশ্য আসল লোক নন, তা রোহিত ট্যান্ডন বলে কপিলের দাবি।