নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর কলেজের ডিগ্রি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে দিয়ে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ ত্যাগীকে চিঠি দিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই নথিপত্র সুরক্ষিত রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ওই নথি সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি। আরও ভাল হয়, যদি এখনই তা আপনাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যায়। দেশবাসীর জানার অধিকার আছে, তাদের প্রধানমন্ত্রী কতদূর পড়াশোনা করেছেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে, তাহলে সত্যিটাও সামনে আসা উচিত।

 

 

গতকাল আশুতোষ, রাঘব চাড্ডা, আশিস খেতান-এই তিন আপ নেতাও উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে মোদীর বিএ ডিগ্রির সব তথ্য প্রকাশ করার আবেদন জানান। কথা বলেন অন্যান্য পদস্থ কর্তাব্যাক্তিদের সঙ্গেও। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মোদীর ডিগ্রি বিষয়ক তথ্য জানাতে চায়নি বলে দাবি করেন তিনজন। তাঁরা জানান, এ ব্যাপারে তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় পেশ করা হলফনামায় মোদী উল্লেখ করেছিলেন, তিনি বিএ করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এমএ পাশ করেছেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু সেই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন, সংশয় তোলা হয়েছে নানা মহল থেকে। ইস্যুটি নিয়ে নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখাচ্ছেন কেজরীবাল, তাঁর দল আমআদমি পার্টি (আপ)।

প্রধানমন্ত্রী আদৌ স্নাতক ডিগ্রিই পাননি, এহেন অভিযোগ প্রসঙ্গে কেজরীবাল কয়েকটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানান, মোদীর অ্যাডমিশন ফর্ম, মার্ক শিট ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ডিগ্রি সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেই।

 

সেই প্রেক্ষাপটেই উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে কেজরীবাল লিখেছেন, উনি যদি বিএ পাশ না করে থাকেন, তবে কী করে মাস্টার্স করলেন? এতেই সন্দেহ হয়, তাঁর এমএ ডিগ্রিটা হয়ত জাল!

 

কয়েকটি সংবাদপত্রে মোদীর পাওয়া নানা ডিগ্রির যে ছবি বেরিয়েছে, তা জাল বলেও দাবি করেন কেজরীবাল। ট্যুইট করেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি রেকর্ড দেখাতে চাইছে না। কেন? আমার কাছে খবর হল, তিনি আদৌ ওখান থেকে বিএ পাশ করেননি।

প্রসঙ্গত, কেজরীবালের দাবিকে তথ্য জানার আবেদন বলে ধরে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সংক্রান্ত খুঁজে বের করে জানাতে নির্দেশ দেয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে।

রবিবার গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় জানান, বাইরের পরীক্ষার্থী হিসাবে মাস্টার্সে ৬২.৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।