কোচি ও তিরুঅনন্তপুরম: কেরলকে সোমালিয়ার সঙ্গে তুলনা করায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি।

এ সপ্তাহের গোড়ায় কেরলে ভোটপ্রচারে গিয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কেরলে তফসিলি উপজাতিদের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার সোমালিয়ার চেয়েও বেশি, ভয়াবহ! এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। সোস্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনা হচ্ছে মোদীর। ট্যুইটারে হ্যাশট্যাগ #PoMoneModi (বিদেয় হোন মোদী) তৈরি করে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন লোকজন। সিপিএম কটাক্ষ করেছে, বিজেপি কোনওদিন ক্ষমতায় আসেনি। তাই কেরলের অবস্থা আফ্রিকার দেশটির মতো হয়নি।

 



আর চান্ডির বক্তব্য, দুনিয়াব্যাপী কেরলের লোকদের অপমান করেছেন মোদী। রাজ্যবাসী তাঁর কাছ থেকে নীরবতা প্রত্যাশা করেন না, চান নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা। চান্ডি বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী উনি। কিন্তু রাজ্যকে সোমালিয়ার সঙ্গে তুলনা করে তিনি কেরলবাসীর অবমাননা করেছেন। আমরা বিষয়টা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট দেখে ওই বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা অন্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী। এমন কথা বলার আগে ওনার সরকারি তথ্য-নথি দেখে নেওয়া উচিত ছিল। আমরা আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছি। নির্বাচন কমিশনে যাওয়া আমাদের ভাবনায় রয়েছে।

 

 

এদিন ফেসবুক পোস্টেও এ নিয়ে এক পোস্টে মোদীকে পত্র-বোমাও ছুঁড়েছেন তিনি। তাতে তিনি দাবি করেছেন, শিশুমৃত্যু ও অপুষ্টি মোকাবিলায় বিজেপি-শাসিত গুজরাতের চেয়ে অনেক এগিয়ে কেরল। লিখেছেন, মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা একে, গুজরাত ১১ নম্বরে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। কিন্তু এ নিয়ে গতকাল জবাব না দিয়েই নির্বাচনী সভা ছেড়েছেন মোদী। এর কারণ হতে পারে, শুধু কেরল নয়, গোটা দুনিয়ার মালয়ালিদের সমালোচনায় তিনি বিদ্ধ হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েও মোদীর কাছে চান্ডি দাবি করেন, রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়ে ওই মন্তব্য তিনি প্রত্যাহার করে নিন, কেননা তা ভিত্তিহীন, বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন।