নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রকের গবাদি পশু সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তির নিন্দায় প্রবল মুখর কেরলের ক্ষমতাসীন বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের ওই বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তির ওপর হস্তক্ষেপের দাবি খারিজ করে দিল কেরল হাইকোর্ট।

কেন্দ্রের নির্দেশে পশুবাজারে কসাইখানায় জবাই করার জন্য গবাদি পশু কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ পিটিশন দিয়েছেন কেরল যুব কংগ্রেস সম্পাদক। কিন্তু তাঁর পিটিশনের বক্তব্য মানতে নারাজ হাইকোর্ট। কেন্দ্রের গবাদি পশু সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিক অধিকার খর্ব হওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হাইকোর্টের বেঞ্চ।

বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে শুধু পশুবাজারেই কসাইখানার হত্যার জন্য গবাদি জন্তুজানোয়ারের বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে গবাদি পশু হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়নি। পশুবাজারে না হলেও বাড়িতে বা অন্যত্র কোথাও কি গবাদি পশু হত্যা, তার মাংস বিক্রি হয় না? অর্থাত সাধারণ নাগরিকের পছন্দের খাদ্য খাওয়ার নাগরিক অধিকার মোটেই খর্ব করা হয়নি। মনে হচ্ছে, কেউ কেউ সরকারি বিজ্ঞপ্তিটি ভাল করে পড়েই দেখেনি। সুতরাং জনস্বার্থ পিটিশনটি যুক্তিতে টিকছে না। কেন্দ্রের নির্দেশে সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি।

বেঞ্চের এই বক্তব্যের পর জনস্বার্থ পিটিশনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

পাশাপাশি মাদ্রাজ হাইকোর্টের গতকালের রায়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছে কেরল হাইকোর্ট। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল চারমাসের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কেরল হাইকোর্ট বলেছে, ভাল করে বিজ্ঞপ্তিটা লোকজন পড়লে এত শোরগোল, প্রতিবাদই হয়তো হত না।