মহিলার নাম জয়ামল, ছেলের নাম জিতু জব। ১৫ তারিখ রাতে বাড়িতে শুধু মা ছেলেই ছিলেন। তখন ছেলেকে গলা টিপে খুন করে মা তার হাত পা কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ। তারপর দেহ বাইরে টেনে এনে আগুনে পুড়িয়ে দেন। গতকাল চাথান্নুর পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে।
অভিযুক্তর স্বামী জব জানিয়েছেন, স্ত্রী কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। আর তা নিয়ে জিতু মজা করত মায়ের সঙ্গে। মা ছেলের মধ্যে এ ব্যাপারে ঝামেলা ছিল রোজকার ব্যাপার। এ সময় জয়ামল হিংস্র হয়ে উঠতেন। বহুবার জবকে দুজনের মাঝে ঢুকে অশান্তি থামাতে হত।
ঘটনার রাতে স্থানীয় ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্টের কাজ করা জব বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে দেখেন, ছেলে নেই। জয়ামল বলেন, সে অনেকক্ষণ আগে স্কেল কিনতে বেরিয়েছে, এখনও ফেরেনি। শুনে বাবা প্রতিবেশী, আত্মীয়দের নিয়ে জিতুর সন্ধানে বার হন। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি। পরদিন স্ত্রীর সঙ্গে থানায় গিয়ে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার ডায়রি করেন তিনি।
জয়ামলের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পুলিশের সন্দেহ হয়। জেরায় তিনি স্বীকার করেন, গলা টিপে ছেলেকে মেরে হাত পা কেটে পুড়িয়ে ফেলেছেন তার দেহ। বাড়ির চত্বরের মধ্যে থেকেই জিতুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কারও হাত নেই বলে তারা জানিয়েছে।