নয়াদিল্লি: কেরলে প্রকাশ্য রাস্তায় তিন মুসলিম তরুণীর নাচ। আর এতেই গেল গেল রব উঠেছে মৌলবাদীদের মধ্যে। তাঁদের প্রতিক্রিয়া , ‘সুনামি’ চলে এল। ‘সৃষ্টি ধ্বংসে’র মুখে।

একটি ভিডিওতে মাথায় ওড়না ঢাকা তিন তরুণীকে রাস্তায় মজার ছলে নাচতে দেখা গিয়েছে। জনপ্রিয় ‘জিমিক্কি কাম্মাল’ গানের তালে মালাপুরমের তিন তরুণীর নাচের ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।





অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন নিন্দা করার জন্য। অনলাইনে ওই ভিডিও পোস্ট করে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মন্তব্য করেছেন, ‘মালাপুরমে যে সুনামি আসেনি, এটাই ভাগ্যি’।

ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়ার আগে কয়েক হাজার শেয়ার হয়েছে এবং মন্তব্য লেখা হয়েছে। কেউ কেউ তো বলে বসেছেন, ওই তরুণীরা ‘ধর্মের পক্ষে অভিশাপ’।

আবার কারুর মন্তব্য, ‘মুসলিম তরুণীরা রাস্তায় নাচছেন। এর অর্থ, সৃষ্টির ধ্বংস হতে আর বেশি সময় বাকি নেই’।

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ওদের বেঁধে রাখার জন্য ওদের বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।

মৌলবাদীদের এ ধরনের মন্তব্যের পাল্টা জবাবও এসেছে। অনেক মুসলিমই মৌলবাদীদের ভণ্ডামি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের কটাক্ষ, ওই লোকগুলিই আবার হাদিয়ার হয়ে লড়াইয়ে সামিল হয়েছে।

বিভিন্ন মেমে-ও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। ওই মেমেগুলিতে মৌলবাদীদের তীব্র বিদ্রুপ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রচার অভিযানের সময় ওই তিন তরুণী নেচেছিলেন। জেলার মেডিক্যাল অফিসার ড. সাকিনা বলেছেন, ওই তরুণীরা ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী। স্বাস্থ্য বিভাগের মিছিলে তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছাত্রীদের সম্পর্কে সংকীর্ণ মানসিকতার ব্যক্তিদের বিরূপ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ড. সাকিনা।

অনেকেই বলছেন, মৌলবাদীদের চিন্তাভাবনায় স্বচ্ছতার অভাবের এই দৃষ্টান্ত নতুন নয়। সম্প্রতিই একই ধরনের মানসিকতা নিয়েই একটি বিশেষ সিনেমার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে লোকজন।