তিরুঅনন্তপুরম: কেরলে খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কয়েকদিন বাদে ডিএসপির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। বি হরিকুমার নামে ওই পুলিশকর্তা শহরের কল্লামবলম এলাকায় নিজের বাসভবনের সামনে এক জায়গায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ।
গত সপ্তাহে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত একটি ঘটনায় ধস্তাধস্তি হওয়ার সময় তিনি এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে চলন্ত গাড়ির সামনে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, তিনি নাকি গাড়িটি ছুটে আসছে দেখেও তাঁকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই সেদিকে ধাক্কা দেন। সানাল নামে গাড়ির ধাক্কায় জখম ২৩ বছর বয়সি যুবকের পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এর জেরে হরিকুমারকে সাসপেন্ড করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় অভিযুক্ত হন তিনি। তবে ৫ নভেম্বরের ওই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান হরিকুমার। কেন তাঁকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে পুলিশের প্রবল সমালোচনা করা হয়। কেরলের নানা জায়গার পাশাপাশি তামিলনাড়ুতেও তাঁর সন্ধানে তল্লাসি চলে। তাঁর বাসভবনও তালাবন্ধ দেখা যায়। তবে কয়েকটি সূত্রে শীঘ্রই তিনি ধরা দিতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছিল।
গত রবিবারই কেরল সরকার অপরাধ দমন শাখার আইজিপি এস শ্রীজিতকে সানালের মৃত্যুর তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করে। হরিকুমারের গ্রেফতারি চেয়ে মঙ্গলবার সকালেই দিনভর অনশন কর্মসূচিতে বসেন সানালের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন। তবে হরিকুমার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর শোনার পর তাঁরাও অনশন তুলে নেন। সানালের স্ত্রীর মন্তব্য, ‘ঈশ্বরের রায়’ কার্যকর হল। সানালের পরিবার অবশ্য গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছে। বাকি অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।