নয়াদিল্লি: সমস্যা মিটল শেষ পর্যন্ত। কেরলের একটি স্কুলের যে ছাত্রকে প্রকাশ্যে একটি মেয়েকে জড়িয়ে ধরার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাকে আসন্ন বোর্ড পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছেলেটির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে নেওয়া ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছেলেটি বারো ক্লাসের পড়ুয়া। স্কুলের প্রিন্সিপাল সেবাস্তিয়ান টি জোসেফ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, বিষয়টি মিটে গিয়েছে। ছেলেটি ইতিমধ্যেই স্কুলের ঘরোয়া পরীক্ষায় বসেছে। ওকে আগামী পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। কোনও সমস্যা নেই। আমরা পড়ুয়াদের ভালই চাই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়েটিও স্কুলে পড়তে পারবে, কোনও সমস্যা হবে না বলে জানান প্রিন্সিপাল।
গত ২১ জুলাইয়ের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে মাসপাঁচেক বাদে। সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ১১ ক্লাসের মেয়েটির পারফরম্যান্সের পর তাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেছিল ওই ছাত্র। মুক্কোলাক্কালের সেন্ট টমাস সেন্ট্রাল স্কুল কর্তৃপক্ষ এতে অন্যায় হয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে তাকে সাসপেন্ড করে।
এ নিয়ে শোরগোল ছড়ানোয় তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর উদ্যোগী হন যাতে ছেলেটির পড়াশোনার ক্ষতি না হয়। তিনি সমাধানসূত্র বের করতে আলোচনায় বসেন চার্চ পরিচালিত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে।





সেখানেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে একমত হয় সব পক্ষ। পরে তারুর ট্যুইট করেন, এখনও কিছু বাধা রয়েছে। তবে প্রায় সমাধানে পৌঁছে গিয়েছি। সবারই প্রশংসা করছি গোটা বিষয়টি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বিচার করায়। সবারই জয় চাই। স্কুলকে তার সুনাম, পড়ুয়াদেরও তাদের পড়াশোনার কেরিয়ার ফিরে পেতে হবে।