আগ্রা: ফতেপুর সিক্রিতে সুইস দম্পতিকে মারধরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে গ্রেফতার হওয়া ৩ জনের আত্মীয়দের দাবি, ওই ৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক নয়। এই দাবির সত্যতা বিচার করতে ধৃতদের ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।


যে তিনজনের অভিভাবকরা দাবি করেছেন, তাঁদের সন্তানের বয়স ১৮ ছোঁয়নি, তাঁদের কাছ থেকে ছেলের বার্থ সার্টিফিকেট চেয়েছে পুলিশ। চেয়েছে স্কুলের সার্টিফিকেটও। যদিও উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শুধু মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টের ওপরেই বিশ্বাস করবেন তাঁরা। ধৃতদের মধ্যে বাকি ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক, তবে প্রাথমিক তদন্তের পরই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।

২২ অক্টোবর বেলা ১টা নাগাদ ফতেপুর সিক্রি ঘুরতে আসা ওই সুইস যুগলের ওপর নৃশংস হামলা চলে। কয়েকজন পথচারী সেই ঘটনার ছবি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দিও করে নেয়। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি না থাকায় মোবাইলের ছবির ওপরেই ভরসা করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ধৃতরা ৫ জনই আগ্রার বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, স্নায়ুর সমস্যা থাকা এক কিশোর ওই বিদেশি দম্পতির ওপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরে জানা যায়, সুইস মহিলার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য জোরজবরদস্তি করছিল অভিযুক্তরা। তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁদের মারধর করা হয়।

ঘটনা জানাজানি হতে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় কোটায়। বুধবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

আহত দম্পতির দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ৫ জনের মধ্যে ২ জন মারাত্মক হিংস্রভাবে তাঁদের ওপর হামলা চালায়, বাকিরা তাদের উসকোচ্ছিল।