পটনা: নিহত তরুণের পচা-গলা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য শবদেহ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি প্লাস্টিকের ব্যাগে করে কাটিহার থেকে ভাগলপুর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ নিয়ে গেলেন আত্মীয়রা। ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

রাজ্য পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে নীতীশ বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, এক তরুণের পচা-গলা দেহ কাটিহার থেকে ভাগলপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাননি আত্মীয়রা। আমি স্বাস্থ্য দফতরকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছি আমি। এক্ষেত্রে একটা নিয়ম থাকা উচিত। প্রতিটি জেলায় ময়নাতদন্তের কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে। সেই কাজ চলছে।’

সপ্তাহ দুয়েক আগে সিন্টু কুমার নামে ওই তরুণ কাটিহারের কুরসেলায় গঙ্গায় ডুবে মারা যান। রবিবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সিন্টুর আত্মীয়রা তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যান কাটিহারের সদর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেন। তাঁরা দেহটি ভাগলপুরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু দেহটি নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। সেই কারণে প্লাস্টিকের ব্যাগে দেহটি ভরে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন সিন্টুর আত্মীয়রা।

কাটিহারের শল্য চিকিৎসক এসসি ঝা বলেছেন, সদর হাসপাতালে শবদেহ বহনকারী কোনও গাড়ি নেই। তবে অ্যাম্বুলেন্স কেন পাওয়া যায়নি, সে বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কাটিহারের জেলাশাসক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গড়েছেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।