ময়নাতদন্তের সময় সামনে আসে কৃপালের দেহে দুটি অঙ্গ না থাকার বিষয়টি।যদিও শরীরের কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। দুটি অঙ্গেরই নমুনা সংগ্রহ করে অমৃতসরের এক সরকারি গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। অমৃতসরের সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক জানিয়েছেন, এই পরীক্ষার পরই কৃপালের মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে কৃপালের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, জেলে তাঁর ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল, যার জেরেই এই মৃত্যু বলে মনে করেন তাঁরা। যদিও পাক প্রশাসনের তরফে জানানো হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কৃপালের। এই দাবি মানতে নারাজ কৃপালের পরিবার। মঙ্গলবার ওয়াঘা সীমান্তে যখন কৃপালের দেহ হস্তান্তর করা হয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃপালের বোন জাগির কৌর, পঞ্জাবের ক্যাবিনেট মন্ত্রী গুলজার সিংহ রানিকে, অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনর বরুণ রুজাম এবং অন্যান্য প্রবীণ সরকারি আধিকারিকরা। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সর্বজিৎ-এর বোন দলবীর কৌর।
১৯৯২ সালে ওয়াগা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার হন কৃপাল। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে পরে গুরদাসপুরের বাসিন্দা কৃপালকে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার যাবতীয় অভিযোগ থেকে রেহাই দেয় লাহেৌর হাইকোর্ট, কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করা হয়নি।