কলগার্ল থাকাকালীন সোনু ওরফে গীতার গাড়ি থেকে এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সে প্রথমবার পুলিশের নজরে আসে। তখন তার নাম ছিল গীতা। সে অবশ্য সহজেই এই মামলা থেকে ছাড় পেয়ে যায়। এরপর তার পরিচয় হয় রোহতকের অপরাধী বিজয়ের সঙ্গে। কিছুদিন পর তাদের বিয়ে হয়। এরপর উত্তরপ্রদেশের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিজয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর দীপক নামে অপর এক অপর এক অপরাধীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে গীতা। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে অসমে পালিয়ে যায় দীপক। কিন্তু সে বাঁচতে পারেনি। অসমেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দীপকের মৃত্যু হয়। তার ভাই হেমন্ত ওরফে সোনুর নজরে পড়ে গীতা। তাদের বিয়ে হয়। এরপরেই গীতার নাম বদলে যায়। হেমন্তর নামানুসারে তার প্রথম নাম হয় সোনু এবং অরোরা পদবির কারণে পদবি হয় পঞ্জাবন।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুখ্যাত অপরাধী হেমন্তর সাহায্যেই দেহব্যবসার জাল বিস্তার করে সোনু। ২০০৬ সালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হেমন্তর মৃত্যু হয়। এরপর অশোক ওরফে বান্টি নামে এক অপরাধীর ঘনিষ্ঠ হয় সোনু। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অশোকেরও মৃত্যু হয়। শোনা যায়, সংঘর্ষে মৃত চারজনের বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছিল সোনু। এভাবেই অপরাধীদের মৃত্যু ঘটিয়ে সে তাদের গোপন সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়। একদা কলগার্ল সোনু হয়ে ওঠে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালকিন।
দেহব্যবসার জাল বিস্তার করার জন্য দিল্লির সব দালালকে ধীরে ধীরে নিজের দলে টেনে নেয় সোনু। কেউ তার দলে যোগ দিতে অস্বীকার করলে তাকে সরিয়ে দেয় সে। এরপর কর্পোরেট কায়দায় দেহব্যবসা শুরু করে সোনু। সে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত মেয়েদের স্থায়ী বেতন দিতে শুরু করে। অনেক ছেলেকেও সে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত করে। কেউ গাড়ি চালাত, আবার কেউ মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত।
সোনুর জীবন বরাবরই আকর্ষণীয়। কলগার্ল থাকাকালীন ধরা পড়লে যখন তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হত, তখন অন্য মেয়েদের মতো সে মুখ ঢেকে রাখত না। সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেলে নিজের ছবি দেখে সে খুব খুশি হত। মনে করা হয়, ‘ফুকরে’ ছবিতে ভোলি পঞ্জাবনের চরিত্রটি সোনুর জীবন অবলম্বনে তৈরি।