নয়াদিল্লি: পাকিস্তানকে ভেঙে চার টুকরো করে দিতে হবে। পাকিস্তানে কুলভূষণ যাদবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তার পর ভারতের ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে টুকরো টুকরো করে ভেঙে দেওয়া উচিত বলে অভিমত সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেছেন, পাকিস্তান যাদবের পরিবারের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, তাঁর স্ত্রীকে মঙ্গলসূত্র খুলতে বাধ্য করেছে, সেটা মহাভারতের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের মতোই সমান লাঞ্ছনার। এজন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ভারতের। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধে নামার সময় এসে গিয়েছে। আমি বলছি না, এখনই যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, তবে এখন থেকেই গুরুত্ব দিয়ে এজন্য হোমওয়ার্ক শুরু করে দিতে হবে। পাকিস্তানকে চার টুকরো করেই তবে আমাদের থামা উচিত। ওদের সঙ্গে বিবাদ-বিরোধের পাকাপাকি সমাধান এটাই। যদিও একইসঙ্গে স্বামী বলেন, এটা আমার একান্তই নিজস্ব মত। অনেক সময় দলের মতও এটাই হয়।


গত ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে পাক বিদেশমন্ত্রকে কাচের দেওয়াল তোলা ঘরে পাকিস্তানে নাশকতা, চরবৃত্তির অভিযোগে দোষী ঘোষিত, মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার যাদবের সঙ্গে তাঁর মা ও স্ত্রীকে দেখা করতে দেওয়ার আগে তাঁদের মঙ্গলসূত্র, চুড়ি, টিপ খুলতে, এমনকী পোশাকও বদলাতেও বাধ্য করা হয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষুব্ধ ভারত। যাদবের মা-কে ছেলের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে দেওয়া হয়নি, তাঁরা কথা বলেছেন টেলিফোনে। যাদবের মা মাতৃভাষা মারাঠিতেও কথা বলতে পারেননি, বলতে গেলেই বাধা পেয়েছেন। গোটা আলোচনা নিয়ন্ত্রণ করেন পাক বিদেশমন্ত্রকের ভারত সংক্রান্ত বিভাগের এক অফিসার। বৈঠকের পর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পাক মিডিয়ার লোকজনও তাঁদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ, অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
ভারত বলে দিয়েছে, সব মিলিয়ে যে ভাবে ওই সাক্ষাত্কার হয়েছে, তার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, ভীতি ও চাপের আবহাওয়ার মধ্যে তাঁদের কথা বলতে হয়েছে।