নয়াদিল্লি ও কলকাতা: রাজনৈতিক অবস্থান বদল করে সারদা তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছেন মুকুল রায়। তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদের পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেই বৈঠকেই তিনি দাবি করেন, মুকুল রায় কোনও একদিন সোমেন মিত্রর বাড়িতে বলেছিলেন, জেটলি না বাঁচালে সারদা তদন্তে জেলে যেতে হত তাঁকে।


এদিকে মুকুল বুধবারই দাবি করেন জেটলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল! সাম্প্রতিককালে অরুণ জেটলির সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন মুকুল রায়। কিন্তু, কুণাল ঘোষ যা দাবি করছেন তা কি সত্যি? সত্যিই কি সারদার তদন্ত থেকে বাঁচতেই বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন মুকুল? বুধবার মুকুল দল ছাড়তেই এই একই অভিযোগ করেছিল তৃণমূলও।

গতকালই মুকুলের পদত্যাগের পর এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, সিবিআই যেই ডাকল সঙ্গে সঙ্গে জেলের ভয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করল মুকুল তলে তলে। বিজেপির সঙ্গে বৈঠক শুরু করল। দলের নেতাদের নামে উস্কানি দিল...আবেগতাড়িত হয়ে দল ছাড়েননি, বলেন পার্থ।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন সেই সুরই শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষের গলাতেও।

মুকুল রায় অবশ্য কুণাল ঘোষের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, জেটলির সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করতেই পারেন যে কেউ। কিন্তু কার বেডরুমে কী কথা হল, কার স্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হল, তা কখনও প্রকাশ্যে বলা উচিত নয়।

এই পরিস্থিতিতে সবার নজর এখন থাকবে সারদা-নারদ নিয়ে সিবিআই-এর তদন্তের দিকে! কারণ, সেখালেই লুকিয়ে রয়েছে রাজনীতির লড়াইয়ের আসল উপাদান।