লালুর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে সুশীল বলেছেন, গরিব কৃষক পরিবারের সন্তান লালু এখন বিহারের সবচেয়ে বড় জমিদার হয়ে উঠেছেন। তাঁর ছেলেদের রাজনৈতিক জীবন রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন দুই আরজেডি মন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাঁদের অনুরোধ মানতে অস্বীকার করেন। নীতীশ ফের বিজেপি-ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল।
বুধবার ছিল আরজেডি-র প্রতিষ্ঠা দিবস। সেদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে লালুর পুত্রদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন সুশীল। তাঁর দাবি, দুর্নীতির ফলে নিজের রাজনৈতিক জীবন ধ্বংস করেছেন লালু। এখন তিনি নিজের ছেলেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছেন। গত ১২ বছরে কোনও ব্যবসা না করেও ১২৫টি সম্পত্তি নিজেদের দখলে নিয়েছেন লালু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। বেশিরভাগ সম্পত্তিই দখল করা হয়েছে ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। সেই সময় হয় লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অথবা লালু রেল মন্ত্রী ছিলেন। আরজেডি-র বিধায়ক ও সাংসদরা লালুর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি উপহার দিয়েছেন। নিচু পদে কর্মরত সরকারি আধিকারিকদের নামে বহু সম্পত্তি কিনে পরে সেগুলো লালুর ছেলে-মেয়েদের ‘উপহার’ দেওয়া হয়েছে।
নীতীশকে আক্রমণ করে সুশীল বলেছেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। কিন্তু তিনি লালু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নীরব।