ঘটনার সূত্রপাত বিহারে মহাজোটবন্ধন সরকার থাকার সময়। তেজ প্রতাপ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন, পটনার ৩, দেশরত্ন মার্গের সরকারি বাংলো দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে বিশেষ থাকতেন না তিনি, ব্যবহার করতেন নিজের ছাত্র সংগঠন ডিএসএসের কাজকর্মে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বাংলোয় আসা যাওয়ার জন্য তেজপ্রতাপ সামনের বড় রাস্তা ব্যবহার করতেন না, বাংলোর পিছনে একটা দরজা ফুটিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন। সেই রাস্তা পাঁচিল দিয়ে ঘিরেও দিচ্ছিলেন তিনি কিন্তু তখনই মহাজোটবন্ধন সরকার পড়ে যায়।
তাতে অবশ্য তেজপ্রতাপের কিছু আসে যায়নি, বাংলো ছাড়েনওনি তিনি। বাংলোর পিছনে সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণও বজায় রেখেছেন। মহাজোটবন্ধনকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এনডিএ চলে এলেও দেবদ্বিজে প্রবল বিশ্বাসী তেজপ্রতাপ সরকারি জমিতেই বানিয়ে ফেলেছেন গোটা একটা মন্দির। তাতে বসেছে দু দুটো এসি, এখন তা সাজানো গোছানো চলছে।
মন্দিরে নিরাপত্তা রক্ষীও বহাল করা হয়েছে, লালুর পরিবার ছাড়া আর কাউকে মন্দিরে পা রাখতে দেন না তাঁরা। ভেতরে যে শিলান্যাস করা হয়েছে, তাতে তেজপ্রতাপ, ভাই তেজস্বী ও মা রাবড়ি দেবীর নাম রয়েছে।
তেজপ্রতাপের এই অবৈধ নির্মাণ সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল বিহার সরকার। কিন্তু সম্ভবত মন্দির হওয়ার কারণেই মুখে কুলুপ এঁটেছে তারা। পথনির্মাণ মন্ত্রী নন্দকিশোর যাদব দায় ঠেলেছেন আবাস নির্মাণ বিভাগের ঘাড়ে। আবাস নির্মাণ বিভাগের মন্ত্রীর আবার দাবি, এ নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না, কমিটি তৈরি করে তদন্ত করাবেন তিনি।
আবার আরজেডির দাবি, মন্দির ওই জায়গায় আগে থেকেই ছিল, তেজপ্রতাপ শুধু তার সৌন্দর্যায়ন করাচ্ছেন। তাদের চ্যালেঞ্জ, বেআইনি হলে রাজ্য সরকার কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না?