পটনা ও হাজিপুর: গোরক্ষা নিয়ে শোরগোলের পরিপ্রেক্ষিতে আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেসব গরু বুড়ো হয়ে গিয়েছে, আর দুধ দেয় না, সেগুলিকে বিজেপি নেতাদের বাড়ির বাইরে রেখে আসুন। দেখা যাক, তাঁরা কীভাবে গরুগুলির যত্ন করেন।

অভিযোগ, নেতার এই পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন কয়েকজন দলীয় কর্মী।  বৈশালি জেলার বিজেপি কিষাণ মোর্চার সহ সভাপতি চান্দেশ্বর কুমার ভারতীর বাড়ির সামনে একটি খুঁটিতে দুটি বুড়ো গরু বেঁধে রেখে আসেন কয়েকজন আরজেডি কর্মী। বিষ্ণুপুর আরারা গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওই গ্রাম লালুর বড় ছেলে তথা মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদবের কেন্দ্র মহুয়া বিধানসভার অন্তর্গত।

চান্দেশ্বরের অভিযোগ, তিনি গরু বাঁধতে বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি তাঁর কাছ থেকে ২০০০ টাকা ছিনিয়েও নেওয়া হয় বলে তাঁর দাবি। এ ব্যাপারে গত ৬ মে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) আদালতে লালু ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

চান্দেশ্বরের দাবি, আরজেডি কর্মীরা তাঁকে গরুদুটিকে প্রয়োজনমতো খাবার দিতে এবং যত্নআত্তি করতে বলেন।

বিজেপি নেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার সিজেএম আদালতে সংক্ষিপ্ত শুনানি হয়। পরে মামলা অতিরিক্ত সিজেএম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে রাজগীরে দলের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লালু অভিযোগ করেছিলেন যে, ভোট টানতে গোরক্ষাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি ও আরএসএস। সেইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে বুড়ো ও দুধ না দেওয়া গরুগুলি বেঁধে রেখে আসতে বলেছিলেন।

লালুর এই পরামর্শকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী। তিনি বলেছেন, লালু ও তার দলের কর্মীরা তো নিজেদের গোভক্ত বলে দাবি করেন। তাহলে দুধ দুইয়ে নেওয়ার পর কেন তাঁরা গরুগুলি বিজেপি নেতাদের বাড়িতে রেখে আসার কথা বলছেন।

অন্যদিকে, আরজেডি মুখপাত্র বলেছিলেন, গোরক্ষক বলে দাবি করা বিজেপি নেতারা প্রকৃতই গরুকে শ্রদ্ধাভক্তি করেন কিনা তা যাচাই করতেই একটা আর্জি মাত্র জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৈশালির ওই বিজেপি নেতা ওই আর্জি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে চাইছেন।