কলকাতা: পাকিস্তান সীমান্তের মত এবার সন্ত্রাস ও অনুপ্রবেশ রুখতে শীঘ্রই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তেও বসানো হবে লেজার ওয়াল এবং অত্যাধুনিক সেন্সরের।


বিএসএফ-এর এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিশেষ করে নদীপাড়-সংলগ্ন অঞ্চলগুলি, যেখানে কাঁটাতার বসানো সম্ভব নয় এবং জনবসতিহীন এলাকাগুলিতে লেজার ওয়াল ও স্মার্ট সেন্সর বসানো হবে।


ওই আধিকারিক জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হবে। তিনি যোগ করেন, কোথায় ওই সেন্সর এবং লেজার ওয়াল বসবে, সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হাতে এলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। তাঁর আশা, আগামী বছরের মধ্যে ওই কাজ সম্পন্ন হবে।


জানা গিয়েছে, যে জায়গাগুলিতে কাঁটাতার বসানো সম্ভব নয়, সেখানে এই বিশেষ প্রযুক্তির লেজার ওয়াল কীভাবে লাগানো যায়, ত খতিয়ে দেখতে একদল বিশেষজ্ঞ শীঘ্রই পরিদর্শন করবে। বিএসএফ সুত্রে খবর, স্মার্ট সেন্সরগুলি নিয়ন্ত্রিত হবে উপগ্রহ নির্ভর সিগন্যাল কম্যান্ড সিস্টেম মারফত।


রাতে ও কুয়াশায় যখন দৃশ্যমানতা কমে যায়, তখন এই স্মার্ট সেন্সর কার্যকর হবে। কেউ অনুপ্রবেশ করতে চাইলেই, সঙ্গে সঙ্গে  অ্যালার্ম বেজে উঠবে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করবে। এই ধরনের লেজার ওয়ালকে ভারত-পাক সীমান্তে ব্যবহার করছে আধা-সামরিক বাহিনী।


বিএসএফ কর্তাদের মতে, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে যে নদীপাড় সীমান্ত এবং জনবসতিহীন সীমান্তাঞ্চল দিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে জঙ্গি ও রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্তরা পারাপার করছে।


ওই আধিকারিক জানান, এই লেজার ওয়াল ও স্মার্ট সেন্সরের বিষয়টি আগেও উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু, পরে, তা ঠান্ডাঘরে চলে যায়। গত বছর ঢাকায় জঙ্গি হামলার পর ফের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।


প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২,২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে।