মুম্বই: পাকিস্তানের মানুষ নিজেরাও ভালো থাকুক, আনন্দে থাকুক, আমাদেরও থাকতে দিক। উরি ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে এই বার্তাই দিলেন সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। বললেন, কিছু দেশ নিজেদের শান্তি শৃঙ্খলার দিকে নজর না দিয়ে অন্য দেশের ওপর আঘাত হানে। কেন তারা নিজেদের দেশকে সুন্দর করে তুলছে না?


বুধবার ৮৭ বছরে পা দেবেন লতা। তিনি চান না এই বছরের জন্মদিন খুব আড়ম্বরে কাটুক। উরি হামলায় ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যু তাঁকে ভীষণ ব্যথিত করেছে। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়াতেও দুঃখিত তিনি। কিন্তু লতা আশাবাদী, দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকবে।

লতাকে ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জিজ্ঞাসা করা হয়, পাকিস্তানি অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিতে চান তিনি। এরই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সবকিছু পাল্টে যাচ্ছে। মানুষেরও পরিবর্তন হচ্ছে। এমনকী পাল্টে যাচ্ছে জলবায়ু। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় শিশুদের দুর্দশা দেখে আমার চোখে জল আসে। এরপর মানব সভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষা কীভাবে সম্ভব সেই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি জানিনা, এর উত্তর দেওয়ার যোগ্য কি না। তবে, কিছু দেশ নিজেদের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে অন্য দেশে গোলমাল পাকাতে ব্যস্ত। কেন তারা নিজেদের দেশকে সুন্দর করে তোলার কাজে মন দেয় না? পাশাপাশি তিনি সুইত্জারল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই দেশটি বিশ্বে সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ। কারণ, তারা নিজেদের উন্নতি, নিজেদের সৌন্দর্য্য নিয়েই ভাবে। কীভাবে নিজের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সদাসর্বদা সেদিকে নজর। অন্যদের ক্ষতি করা নিয়ে ভাবার সময় নেই তাদের।

এরপর পাকিস্তানি অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওরা সুখে থাকুক, আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দিক। আমি জানি, পাকিস্তানের মানুষও আমাদেরই মতো শান্তি চায়। শুধুমাত্র কিছু মানুষ আছে যারা শান্তির বিপক্ষে।

প্রতি বছরই জন্মদিনে অনুরাগীদের কাছ থেকে অসংখ্য উপহার পান লতা। শুভেচ্ছাবার্তার পাশাপাশি উপহারও পান প্রচুর। অনুরাগীরা কেউ কেক, কেউ ফুল, কেউ মিষ্টি, কেউ বা গ্রিটিংস কার্ড বা অন্যান্য উপহারসামগ্রী দিয়ে থাকেন তাঁদের প্রিয় মানুষটিকে। কিন্তু এবছর এ সব কোনও উপহারই চাইছেন না লতা। তিনি চান, এই অর্থ দান করা হোক সীমান্তে পাহারারত বীর সাহসী ভারতীয় যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে।