হায়দরাবাদ: তিন তালাক বিল মুসলিম পুরুষদের জেলে পাঠানোর হাতিয়ার বলে অভিযোগ করলেন আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। অল ইন্ডিয়া মুসলিম ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) সভাপতির অভিমত, আইন করে সামাজিক সমস্যার সমাধান করা যায় না। এখানে 'তাহাফুজ-ই-শরিয়ত' (সেভ শরিয়া) শীর্ষক জনসভায় তিনি সওয়াল করেন, পণপ্রথা ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধ রুখতে সুনির্দিষ্ট আইন চালু করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও মেয়েদের বিরুদ্ধে অন্যায়, অবিচার চলছেই, পণপ্রথার জন্য বধূহত্যাও হয়ে চলেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫-র মধ্যে ভারতে ৮০ হাজারের বেশি মহিলা পণপ্রথার বলি হয়েছেন। পণ দিতে না পেরে রোজ ২২ জন করে মহিলার মৃত্যু হয়। নির্ভয়াকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরও ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। সুতরাং আইন করে সমস্যা দূর করা যায় না।
এ প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, আইন হলে তিন তালাক বন্ধ হবে কি?
তিন তালাক বিলকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি করে ওয়েইসি বলেন, এর উদ্দেশ্য হল, মুসলিম মেয়েদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া আর পুরুষদের জেলে পাঠানো।
মুসলিম মৌলবিদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই কেন্দ্রের বিজেপি-এনডিএ সরকার সংসদের মাধ্যমে তিন তালাক বিলটি পাশ করানোর চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুসলিম মহিলা (বিবাহ সংক্রান্ত অধিকার রক্ষা) বিল, ২০১৭ লোকসভায় গৃহীত হলেও সেটি রাজ্যসভার অনুমোদন পায়নি, কেননা সেখানে বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে দাবি করে, বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে হবে বিলটি। বিলে তিন তালাককে অপরাধের স্বীকৃতি দিয়ে যে স্বামী স্ত্রীকে এভাবে ডিভোর্স দেবে, তাকে তিন বছর কারাবাসের সাজা দেওয়ার বিধি রাখা হয়েছে।