কলকাতা: ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারি কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক। না এলে কাটা যাবে একদিনের বেতন। চাকরিজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। মুখ্যসচিবের আশ্বাস, সোমবার স্বাভাবিক থাকবে জনজীবন।


নোট বাতিলকাণ্ডে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বামেদের সঙ্গে এক মঞ্চে এলেও, ধর্মঘট-প্রশ্নে বিরোধী অবস্থানই নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, আর-পাঁচটা কর্মনাশা ধর্মঘটকে যেভাবে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার কথা বলা হত, ব্যতিক্রম হল না এবারও! রাজ্য প্রশাসন বুঝিয়ে দিল, ধর্মঘটের নাম কোনও রকম নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না।

প্রশাসনের তরফে শনিবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী সোম ও মঙ্গলবার দফতরে সমস্ত সরকারি কর্মীর হাজিরা বাধ্যতামূলক। এই দু’দিন কেউ কাজে না এলে, বেতন কাটা যাবে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কর্মজীবন থেকে একদিন ছেদ পড়বে। গণ-পরিবহণ ব্যবস্থাকেও স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

প্রসঙ্গত, সোমবার, রাজ্যে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১৮টি বামপন্থী দল। বামেদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল, তিরিশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো ৫০০ ও হাজার টাকার নোট ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে ব্যাঙ্ক, এটিএম এবং ডাকঘরকে।

নোট বাতিলের প্রতিবাদে সরব হলেও, বামেদের ধর্মঘটের বিরোধিতা করছে তৃণমূল। যদিও নোটকাণ্ডে আন্দোলন করা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বাম নেতৃত্ব। কংগ্রেস জানিয়েছে, বামেদের ধর্মঘটে তারা যোগ দিচ্ছে না। নিজস্ব কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি প্রত্যাশিতভাবেই বামেদের ডাকা ধর্মঘটের বিরোধিতাই করছে।