বৃহস্পতিবার সকালে মারুতি সুজুকির মানেশ্বর প্ল্যাটে আচমকাই হাজির হয় এক অনাহুত অতিথি। সেই অতিথি আর কেউ নয়, চিতার হানা ঘটে মারুতি গাড়ি তৈরির ওই প্ল্যান্টে। স্বাভাবিক ভাবেই এই অতিথি আগমণে সাময়কিভাবে বন্ধ করে দিতে হয় উৎপাদন। এখন কার্যত প্ল্যান্টের কর্মী, বনকর্মীরা এবং পুলিশরা ভয় তটস্থ। আজ ভোর চারটে নাগাদ প্রথম চিতাটিকে দেখতে পাওয়া যায়। এখনও তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

এইমুহূর্তে সাত সদস্য বিশিষ্ট বনকর্মীরা চিতাকে ওই চত্বর থেকে বের করে আনার সবধরনের চেষ্টা করছে। গুরুগ্রামের বন্য সংরক্ষণ আধিকারিক বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, চিতাটিকে শান্ত করতে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হবে। গোটা চত্বরটি ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও বনকর্মীরা। প্ল্যান্টের ইঞ্জিন ডিপার্টমেন্টের ভেতরে প্রথম ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় চিতাকে।

নিরাপত্তার কারণে সকাল সাতটার সময় যেসমস্ত কর্মীরা প্ল্যান্টে হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। আজকে যেখানে চিতা ঢুকেছে, সেখান থেকে ৩০ কিমি দূরে সোহনায় এপ্রিল মাসে একটি বাড়িতে চিতার হানা ঘটে। ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর জখম হন।