প্রসঙ্গত, বিএসপি ও মায়াবতীর ভাইয়ের যে অ্যাকাউন্ট সম্প্রতি ইডির নজরে এসেছে সেপ্রসঙ্গে বিএসপি নেত্রীর মত, ওই অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকাই দলের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার জন্যে। মায়াবতীর দাবি বিভিন্ন লোক এবং সংস্থা ডোনেশন বাবদ সেই টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা করেছিল। প্রতিটি টাকারই হিসেবে তাঁর কাছে রয়েছে।
এরপরই বিএসপি নেত্রী কেন্দ্রকে পাল্টা আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, নোট বাতিলের পর বিজেপিও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বিশাল পরিমাণ টাকা জমা করেছে। তারওপর নজরদারি কে চালাবে, প্রশ্ন বেএসপি নেত্রীর। মায়াবতীর মন্তব্য, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং তার পরবর্তী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে তাঁদের হয়রানি কয়েকগুন বেড়ে গেছে। আর সেই সমস্ত সিদ্ধান্তের প্রভাবও সুদূর প্রসারী।
কেন্দ্রকে আক্রমণের সময় মোদীকে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মায়াবতী, তিনিও বিজেপির সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট জনসমক্ষে আনুন, যেখানে ৮ নভেম্বরের দশ মাস আগে থেকেই টাকা জমা করা শুরর করেছিল তাঁর দলের কর্মীরা। বিএসপি নেত্রীর দাবি, মোদী যদি সত্যিই সত্ হন, তাহলে তিনি তাঁর ও দলের সমস্ত খরচ, টাকা জমা দেওয়ার স্টেটমেন্ট সামনে আনুন। দেশের প্রত্যেক জনসাধারণের সেকথা জানার অধিকার রয়েছে।