২০১৭-র ৩০ অক্টোবর বিমানের শৌচাগারের টিস্যু পেপার বক্সে ইংরেজি, উর্দুতে লেখা বিমান ছিনতাইয়ের হুমকি বার্তা ফেলে রাখায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন সাল্লা। এই ঘটনার পর সাল্লাই হন প্রথম কেউ যাঁকে ‘জাতীয় নো ফ্লাই লিস্ট’ অর্থাত ‘কোনও বিমানে চাপতে পারবেন না, এমন ব্যক্তিদের তালিকা’য় ফেলা হয়। পাশাপাশি ১৯৮২ সালের আইন বদলে আনা কঠোর বিমান ছিনতাই রোধ আইনেও প্রথম তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়।
গত বছরের জানুয়ারি সাল্লার বিরুদ্ধে ২০১৬র বিমান ছিনতাই রোধ আইনের ৩ (১), ৩ (২) (এ) ও ৪ (বি) ধারায় চার্জশিট দেয় এনআইএ। তাতে বলা হয়, সাল্লা ইংরেজি ও উর্দুতে ‘হুমকি-বার্তা’ লিখে ‘ইচ্ছে করেই’ মুম্বই-দিল্লি জেট এয়ারওয়েজের 9W339 ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসের কাছে শৌচাগারের টিস্যু পেপার বক্সে ফেলে রাখেন। বিমানের যাত্রী, ক্রু সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়ে। আমদাবাদ বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণের পর সাল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় তিনি অপরাধ কবুল করে তদন্তকারীদের জানান, ছিনতাইয়ের হুমকিতে ভয় পেয়ে জেট এয়ারওয়েজ তাদের দিল্লি অফিস গুটিয়ে ফেলবে আর সেখানে কর্মরত তাঁর বান্ধবী মুম্বইয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসবেন, এই আশাতেই তিনি এমনটা করেছেন। ওই হুমকি নোটে বিমানটিকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে উড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। তার শেষে আল্লাহ মহান, শব্দগুলিও ছিল।