নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর আজ বিজেপি সদর দফতরে বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক উৎসব থেকে আমরা শয়তানকে মেরে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাই। যত দিন যাচ্ছে, আরও বেশি মানুষ ভোট দিচ্ছেন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে হিতকর। জয় এমনি এমনি আসে না। প্রত্যেক নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির বিজয়রথ এগিয়ে চলছে। বিগত ৫০ বছর ধরে সব রাজনৈতিক দলই দেশের উন্নয়ন নিয়ে অনেক কথা বলেছে। উন্নয়নের প্রশ্নে, মানুষের বেশি ভোটদান শুভ সঙ্কেত। গাছে ফল ধরলে তা ঝুঁকে যায়। বিজেপির বটবৃক্ষে দায়িত্বের ফল ধরেছে। তাই মানুষের সামনে এবার ঝুঁকতে হবে। ক্ষমতা হল মানুষকে সেবা করার সুযোগ। এখন সময় হয়েছে বিজেপি কর্মকর্তাদের আরও নমনীয় হওয়ার। গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলই সরকার গঠন করে। তবে আমাদের সরকার সবার। যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন তাঁদের যেমন সরকার, তেমনই যাঁরা ভোট দেননি তাঁদেরও সরকার।


বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, নোট বাতিলের ফলে দেশের গরিব মানুষ নিজেদের সরকারের অঙ্গ হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন। মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন দেশে অনিশ্চয়তার পরিবেশ ছিল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদী যা বলেছেন, তা স্রেফ ভাষণ নয়। এই ফল (উত্তরপ্রদেশ) বিজেপিকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের থেকেও আগে নিয়ে যাবে। ২০১৪ সালের থেকে বেশি ভোট এবার মানুষ বিজেপিকে দিয়েছে।

এদিন হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকের অভিনন্দনের মধ্যে হোটেল থেকে দলীয় সদর দফতরে পৌঁছন মোদী। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অমিত শাহ ছাড়াও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মূর্তিতে মালা দেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, গরিব মানুষের শক্তি ও মধ্যবিত্তদের উচ্চাশাই ভারতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।